ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হলেও একাধিকবার পদবীর জেরে ‘দেশদ্রোহী’ খোঁটা খেতে হয়েছে শাহরুখ-সালমান খানকে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সিনেমায় তাদের অবদান ভুলে নেটপাড়াতেও একাধিকবার দাবি করা হয়েছে, ‘পাকিস্তানে চলে যান।’ তারপরও বারবার আন্তর্জাতিক ময়দানে গর্বের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন শাহরুখ-সালমানরা।
কখনও তারা সিনেমার মাধ্যমে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন, কখনও বা আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলে দেশের দুস্থদের সাহায্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আদতে মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী তারা। এবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বলিউডের খান সাম্রাজ্যের দুই প্রতিনিধি।
পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় ভয়ানক সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় দেশবাসীর মনে যতটা কাঁপন ধরিয়েছে, ততটাই রাগ-বিদ্বেষের জন্ম দিয়েছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। এত বড় সন্ত্রাসের ঘটনার সাক্ষী থাকেনি উপত্যকা!
ক্ষুব্ধ শাহরুখ খানের মন্তব্য, “পেহেলগামের ঘটনা অমানবিক, বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আমি। এরকম সময়ে, আমরা শুধু ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে পারি। আর নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। আমরা এক দেশ, এক জাতি হিসেবে এই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চাইছি।”
ভূস্বর্গের ভয়াবহ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সালমান খানও।
ভাইজানের মন্তব্য, “যে কাশ্মীরকে পৃথিবীর ভূস্বর্গ বলা হত, সেটা এখন নরকে পরিণত হয়েছে। নিরীহ মানুষদের টার্গেট করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। একটা নিরীহ মানুষকে হত্যা করা পুরো ব্রহ্মাণ্ডকে মেরে ফেলার সমান।”
পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রতিক্রিয়া, “পেহেলগামে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মানুষ সেখানে কেউ ছুটি কাটাতে, কেউ মধুচন্দ্রিমা করতে আবার কেউ বা পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করতে গিয়েছিল। শুধুমাত্র কাশ্মীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়েছিল। এই নিরীহ মানুষগুলো এমন এক ঝড়ের কবলে পড়ল, যেটা তারা কোনএদিন কল্পনাও করতে পারেনি। ঠিক প্রিয়জনদের সামনেই ওদের টার্গেট করে মেরে ফেলা হল। না, এই ঘটনাটা এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। বরং জীবনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সকলকে তাড়া করে বেড়াবে। এই জঘন্য আক্রমণ মানবতার বিবেককে অন্তত নাড়া দিক।”