ফাঁকা গ্যালারি নিয়ে শান্তের আক্ষেপ

বিপিএল ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের অন‍্য সব ম‍্যাচে গ‍্যালারি প্রায় ফাঁকা থাকে।
বিপিএল ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের অন‍্য সব ম‍্যাচে গ‍্যালারি প্রায় ফাঁকা থাকে।

বড় হয়েছেন গ‍্যালারিতে দর্শক দেখে। বিশেষ করে আবাহনী ও মোহামেডানের দ্বৈরথে গ‍্যালারি যেন উপচে পড়ত। সেই পরিস্থিতি পাল্টে গেছে অনেক দিন। গ‍্যালারির বেশিরভাগই থাকে ফাঁকা। দুই দলের সমর্থক গোষ্ঠীও সেভাবে মাঠে আসেন না। এই পরিস্থিতি বদলাতে ভক্তদের গ‍্যালারিতে বসে খেলা দেখার তাগিদ দিলেন আবাহনী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের একাদশ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে আবাহনী ও মোহামেডান। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ত্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার জিততে পারলে শিরোপা লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে শান্তর দল।

আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আক্রান্ত হয়েছিল আবাহনী ক্লাব। ভাঙচুর চালানো হয়েছিল ধানমন্ডির ক্লাব ভবনে। লুট করে নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম দলটির অর্জিত সব ট্রফি।

রাজনৈতিক পালাবদলের পর কঠিন পরিস্থিতির মধ‍্য দিয়ে যাচ্ছে আবাহনী। তারকা খচিত দলের বেশিরভাগ সদস‍্যকে ধরে রাখতে পারেনি তারা। কিন্তু মাঠের আবাহনী যেন সেই একই আছে। প্রতিযোগিতার শীর্ষে আছে তারাই।

১০ ম‍্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট শান্তদের। সমান ম‍্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মোহামেডান। এই ম‍্যাচে জিতলে চার পয়েন্টে এগিয়ে থেকে সুপার সিক্সে খেলতে নামবে শান্তর দল।

অনেক দিন ধরেই অভিযোগ ছিল, বাড়তি সুবিধা পায় আবাহনী। বোর্ডে পরিবর্তন আসার পর তেমন কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত ওঠেনি। সেই বাস্তবতাও নেই।

বাইরে কিছু নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না শান্ত। অন‍্য সব আসরের মতো একই ধরনের উত্তেজনা কাজ করেছে আবাহনীর ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া বাঁহাতি এই ব‍্যাটসম‍্যানের।

“না! ওমন ভিন্ন লাগছে না। প্রতি বছর যেমন একটা রোমাঞ্চ কাজ করে, এবারও একই রকম। দিন শেষে এটা একটা খেলা। তবে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ সবসময় একটা… মানুষের তো একটা বাড়তি চাওয়া-পাওয়া থাকে। আশা করি, কালকের ম্যাচটা এরকম রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচ হবে।”

“না! এরকম (বাড়তি চাপ) কোনো কিছু মনে হচ্ছে না। টুর্নামেন্টে এখনও অনেক খেলা বাকি। কালকের ম্যাচটা শুধু একটা ম্যাচের মতো করে দেখতে চাই। বাড়তি কিছু চিন্তা করছি না যে, কালকে জিতলে কী হবে বা হারলে কী হবে। আমার মনে হয়, প্রক্রিয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা আগের ম্যাচগুলো খেলেছি, কোন ভুলগুলো ছিল, সেগুলো যেন পরবর্তী ম্যাচে না হয়। বাড়তি কোনো চাপ বা এফোর্ট দেওয়ার বিষয় নেই।”

শিরোপা নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে আবাহনী-মোহামেডান ম‍্যাচ। এই ম‍্যাচ নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মধ‍্যে আগ্রহ তুমুল। তবে এরপরও কি গ‍্যালারি পূর্ণ হবে? এ নিয়ে বিসিবিকে উদ‍্যোগ নিতে বললেন শান্ত। 

“আশা তো থাকে যে উত্তেজনাটা থাকুক। তবে এটা সত্য যে আগের মতো ওই উত্তেজনা নেই। আগের মতো আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ দেখতে ওরকম দর্শকও আসে না মাঠে। ২০১৫-১৬ সালের দিকেও দেখতাম গ্যালারিতে কিছু মানুষ আসতেন। ওই জিনিসটা কমার কারণ আসলে… ওই উত্তরটা আমার কাছে নাই। তবে আবাহনী-মোহামেডান খেলা হলে প্লেয়ারদের মধ্যে ওরকম রোমাঞ্চ থাকে। আমার মনে হয়, দর্শকরাও ওরকম রোমাঞ্চিত থাকে। খেলা কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। আশা করব, দর্শকরা আগে যেমন আসতেন, এখনও আসবেন খেলা দেখতে।”

“বিসিবি আসলে এখানে কীভাবে (দর্শক মাঠে আনতে) উদ্যোগ নেবে, আমার জন্য বলা মুশকিল। আমার মনে হয়, দর্শকরা যদি খেলা দেখতে চায়, তারা চাইলে আসতে পারে। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ বেশিরভাগ সময় মিরপুরেই হয়। হয়তো দর্শকদের অনেক ব্যস্ততা থাকে। খেলাটাও সকালে শুরু হয়। আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডে-নাইট ম্যাচ খেলি। এখানে খেলা যেহেতু সকালে শুরু হয়, অনেকের অনেক ব্যস্ততা থাকে। তাই আমার মনে হয়, অনেকে মাঠে আসতে একটু সমস্যাবোধ করে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads