বদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম

Name changed

অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কাজ বন্ধ থাকা শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবি। প্রস্তাবিত স্টেডিয়ামের নতুন নাম- ন‍্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এনসিজি)।   

অস্ট্রেলিয়ার বিখ‍্যাত কিছু মাঠের নাম এমন- সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি), মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)। অনেকটা সেই পথে হাঁটল বিসিবি।

বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ সোমবার বিকালে বিসিবি পরিচালনা পরিষদের সভা শেষে স্টেডিয়ামের নতুন নাম প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বন্ধ হয়ে যায় আলোচিত এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ। বাতিল করা হয় দরপত্র।

সেই কাজ আপাতত শুরুর কোনো উদ‍্যোগ নেই। স্টেডিয়ামের পরিবর্তে এখন সেখানে দুটি মাঠ তৈরি করার কাজ চলছে। আগামী মৌসুম থেকেই এনসিজিতে ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা পরিচালনা করার ব‍্যাপারে আশাবাদী ইফতেখার।

“২০৩১ বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করতেই হবে আমাদের। তবে আপাতত মাঠ তৈরিতেই আমরা জোর দিচ্ছি। দুটি মাঠ তৈরি হচ্ছে সেখানে। ১৮টি পিচ থাকবে, নেট অনুশীলন থেকে শুরু করে সুযোগ-সুবিধা থাকবে যথেষ্ট। অস্থায়ী ড্রেসিং রুমও থাকবে, পরে যা সরিয়ে স্থায়ী করা হবে। আশা করি, আগামী মৌসুমে এই দুই মাঠে ঘরোয়া ক্রিকেট চালাতে পারব আমরা। আমাদের মাঠের সঙ্কটও তাতে কমবে কিছু।”

নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বিসিবির বিগত বোর্ডের উচ্চাভিলাসী প্রকল্প ছিল এটি। স্টেডিয়ামের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি পায় বিসিবি। এখানে পূর্ণাঙ্গ একটি ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়, যার সম্ভাব‍্য বাজেট ছিল প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনায় ছিল স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ, হোটেল, একাডেমি, সুইমিং পুলসহ ছিল আরও অনেক কিছু।

২০২২ সালের অক্টোবরে বিসিবি জানিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ান ফার্ম ‘পপুলাস আর্কিটেকচারাল ডিজাইন’ স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ পেয়েছে। তবে নানা কারণে সব প্রক্রিয়াতেই দেরি হয়। তাই সেভাবে কাজ শুরু হয়নি।

নৌকার আদলে এই স্টেডিয়ামের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছিল। তাই স্টেডিয়ামটি ‘দা বোট’ নামেও পরিচিত পাচ্ছিল। এখন সেটির নাম কেবলই এনসিজি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads