ইলিশ না খেতে শেখ হাসিনার পরামর্শ এবার প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কণ্ঠে!

Hilsa

পয়লা বৈশাখে ইলিশ না খেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, “পয়লা বৈশাখে ইলিশ না ধরতে ও না খেতে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এর পরিবর্তে আপনারা খিচুড়ি, সবজি, ডিম ভাজা এবং পুড়িয়ে শুকনো মরিচ খেতে পারেন।”

এবার শেখ হাসিনার সেই আহ্বান এলো অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার কণ্ঠে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি আইনের লঙ্ঘনের বিষয়টিও মনে করিয়ে দিয়েছেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একই সঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে ইলিশ পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন।”

শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখে ইলিশ না খেয়ে খিচুড়ি, সবজি, ডিম ভাজা এবং পুড়িয়ে শুকনো মরিচ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

ঠিক তেমনি প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোমবার দুপরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এই পরামর্শ দেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “পহেলা বৈশাখে যারা ইলিশ খাবেন তারা জাটকাই খাবেন। একই সঙ্গে তারা আইন লঙ্ঘন করবেন। কাজেই বাজারে ইলিশ পাওয়াটাও আইনের লঙ্ঘন। এই সময়টাতে আমরা জোরালোভাবে জাটকা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার কথা বলেছি।”

উপদেষ্টা বলেন, “চৈত্র সংক্রান্তিতে কোনো আমিষ খাওয়া হয় না। সেদিন ১৪ রকমের শাক খাওয়া হয়, বিশেষ করে তেতো শাক যেমন গিমা শাক। আপনারা চৈত্র সংক্রান্তি পালন করবেন এবং পহেলা বৈশাখে বাতাসা খান, দই, চিড়া, মিষ্টি, ছাতুর সরবত খান, ভাত, শাক, সবজি খান। ইলিশ বাদে অন্য মাছ খান।

চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এককালে চৌদ্দ শাক খাওয়া বা শাকান্ন পালিত হতো। এই চৌদ্দ শাক খাওয়া এখনও প্রচলন আছে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে। চোদ্দ শাক খাওয়ার পিছনে যেমন একাধিক পৌরাণিক কারণ লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই এই ১৪ শাকের স্বাস্থ্যগুণও অনেক৷ এই ১৪ শাকের তালিকায় রয়েছে-ওল, কেও, বেতো, কালকাসুন্দা, নিম, সরষে, শালিঞ্চা বা শাঞ্চে, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, পলতা, ঘেঁটু বা ভাঁট, হিঞ্চে, শুষনি, শেলু।

আরও পড়ুন