ভারতের সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল ছবির কথা উঠলে সবার মুখেই চলে আসে শোলের নাম। ‘শোলে’র মতো জনপ্রিয়তা খুব কম হিন্দি ছবির পেয়েছে ভারত। সত্তরের দশক থেকে শুরু করে পরের কয়েক যুগ এবং এখনও হিন্দি সিনেমার দর্শক এবং অভিনয় শিল্পীদের কাছে জনপ্রিয় একটি সিনেমা ‘শোলে’।
অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী এবং আমজাদ খান অভিনীত এই ছবি একসময় ভারতের বক্স অফিস কাঁপিয়েছে। অসাধারণ গল্প, অনবদ্য অভিনয়, আরডি বর্মনের সুরে অভূতপূর্ব প্রতিটি গান, শোলের সাফল্য গাথায় সকলেরই অবদান সমান।
সব মিলিয়ে সিনেমার গণ্ডি ছাড়িয়ে ‘শোলে’ কখন যেন হয়ে উঠেছে ‘কাল্ট’। এই ছবি নিয়ে এখনও দর্শকদের বিপুল আগ্রহ।
কিন্তু জানেন কি এই ছবিরই অনেক দৃশ্য মুছে ফেলা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ডের কাঁচি চলেছিল ‘শোলের’ দৃশ্যেও। বেশ কয়েকটি দুর্ধর্ষ দৃশ্যকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। ৪৯ বছর পর সামনে এল সেরকমই একটি ছেঁটে ফেলা দৃশ্য।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে শোলের ‘ডিলিটেড সিনস’, এই ছবির বাদ যাওয়া দৃশ্য। সেন্সর বোর্ড সেসময় এই ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে কাঁচি চালায়। বাদ পড়ে সেইসব দৃশ্য।
এই ছবিতে ‘গব্বর সিং’-এর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন আমজাদ খান। তার অভিনয়ের জেরে ‘গব্বর’-এর দৃশ্যগুলি রীতিমতো শিহরণ জাগায়। তবে জানেন কি ‘গব্বরের’ নির্মমতায় কাঁচি চালায় সেন্সর বোর্ড।
‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ নামে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শোলে ছবির একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। বেশ ভাইরাল হচ্ছে এই ছবি। ছবিতে আমজাদ খানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর শচীন পিলগাঁওকরকে পাশেই মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
ছবিতে আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শচীন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, শচীনকে চুল ধরে টেনে তুলছেন গব্বর। চারিদিকে দস্যুদের দেখা যাচ্ছে। ছবিটি থেকে এই দৃশ্যটি কাটা হয়েছে।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এই ছবিটি শেয়ার করে জানান হয়েছে, ১৯৭৫ সালে শোলে মুক্তি পাওয়ার পর এই দৃশ্য কেটে ফেলা হয়। কারণ এই দৃশ্যে ছিল অতিরিক্ত হিংস্রত এবং গব্বরের নিষ্ঠুরতা। তবে ফের ভাইরাল হাওয়া ছবিই প্রমাণ, ৪৯ বছর পরেও সমান জনপ্রিয় ‘শোলে’।
১৯৭৫ সালে হিন্দি-ভাষী অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছিলেন রমেশ সিপ্পী এবং প্রযোজনা করেছিলেন তার বাবা জি. পি. সিপ্পী।
শোলে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং ধ্রুপদী চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত। ২০০২ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট প্রকাশিত সর্বকালের ‘শীর্ষ দশটি ভারতীয় চলচ্চিত্র’ তালিকাতে এটি প্রথম স্থান পায়। ২০০৫ সালে ৫০তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের বিচারকগণ এটিকে ‘৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ বলে অভিহিত করেন।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে থ্রিডি ফরম্যাটে শোলে মুক্তি দেয়া হয়।