দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
এ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন যিনি ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে গেলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাণিজ্য, শুল্ক এবং অভিবাসন ছাড়াও দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রথম দেখাতেই দুই নেতা করমর্দন করেন এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
এ সময় মোদী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে তার দেশকে সবসময় এগিয়ে রাখেন, তেমনি আমিও। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে।”
জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “তিনি ভারতে দুর্দান্ত কাজ করছেন এবং আমাদের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে, যা দুই জাতির উন্নয়নে ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।”
পরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, যার মধ্যে রাশিয়া, ইউক্রেনের পাশাপাশি বাংলাদেশে সংকট এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গে জানতে চান সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়; বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে ছেড়ে দিচ্ছে, বরং তিনি সমাধান দেবেন।
এ সময় মোদী রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তার দেশ শুরু থেকেই বলে আসছে, যুদ্ধের ময়দানে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই এই যুদ্ধের সমাধান সম্ভব।
বিদেশী বিনিয়োগ, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় দুই দেশের আলোচ্য সূচিতে শীর্ষে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি নরেন্দ্র মোদীর দশম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। ২০২৪ বাইডেনের আমন্ত্রণে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল ২০১৪ সালে, সেসময় দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা।