রূপচর্চায় শুক্রাণু ব্যবহার করেন হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন। তাও আবার যে সে শুক্রাণু নয়। সামুদ্রিক স্যামন মাছের শুক্রাণু।
সম্প্রতি নিজের সুন্দর ত্বকের রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে এমন কথা জানান হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন।
৫৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, তিনি বরাবরই রূপচর্চা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন। সেই সূত্রেই এখন তিনি স্যামন মাছের শুক্রাণু দিয়ে তৈরি বিশেষ এক ফেসিয়াল ব্যবহার করেন।
কী এই ফেসিয়াল?
রূপচর্চার ভাষায় এই বিষয়টিকে বলা হয় ‘রিজুরান স্কিনবুস্টার’। এই ফেসিয়াল বিগত এক দশক ধরেই দক্ষিণ কোরিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যামন মাছের শুক্রাণুতে পোলিনিউক্লিওটাইড নামের এক বিশেষ ধরনের জিনের অংশ থাকে। এই উপাদানটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগ্রহ করে ফেসিয়ালটিতে মেশানো হয়।
এই উপাদান ত্বকের ভিতরে গিয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। বাড়িয়ে দেয় কোলাজেন প্রোটিনের উৎপাদনও। ফলে দ্রুত উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ত্বক।
গত এক দশকে পুরো পৃথিবীতেই কোরিয়ার বিভিন্ন রূপচর্চার সামগ্রী বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। ‘ক্রায়োথেরাপি’ থেকে ‘ম্যাগনেটিক ফেস মাস্ক’ সামগ্রী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ‘রিজুরান স্কিনবুস্টার’।