চুলের ডগা ফাটা কমছে না?

ছবি: ফ্রি পিক থেকে নেওয়া।
ছবি: ফ্রি পিক থেকে নেওয়া।

সপ্তাহে দুইদিন চুলে তেল মাখছেন; শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারও। পুরনো তেল-শ্যাম্পু-কন্ডিশনার বদলেও দেখেছেন তবুও যাচ্ছে না সমস্যা। চুলের ডগা সেই রুক্ষ-শুষ্ক এবং ফাটাই থেকে যাচ্ছে।

সমস্যাটি হয়তো আপনার রূপচর্চার সামগ্রিতে নয়। তা হয়তো আপনার খাবারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য যেমন আমাদের পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন তেমনি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে প্রয়োজন পড়ে কিছু ভিটামিন ও খনিজের।

কাজের চাপে অনেক সময় নিয়ম করে খাওয়া হয় না; ফলে বাদ পড়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।

এসব ক্ষেত্রে মুশকিল আসান হতে পারে হেলথ ‘শট’। শট হচ্ছে এমন পরিমাণ যা এক চুমুকেই শেষ করা যায়। এসব হেলথ শট সাধারণত বানানো হয়ে থাকে ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর ফল এবং সব্জির রস দিয়ে। চুলের এই ডগা ফাটার হাত থেকে মুক্তি পেতে আপনি থেকে পারেন আমলকি, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ও সজনে পাতার শট।

আমলকি এবং অ্যালোভেরা যে চুলের জন্য ভালো তা সর্বজন বিদিত। সজনে পাতাও কিন্তু পুষ্টিগুণে পিছিয়ে নেই।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কেন এই তিন উপদান বাছাই করবেন:

আমলকি: আমলকি খুবই পরিচিত একটি ফল। বাড়িতে নিয়মিত খাওয়া হলেও অনেকে জানি না এটি খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। চুলের অন্যতম উপাদান কোলাজেন নামক প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে এই ভিটামিন সি। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের জেল্লা ফেরাতে, অকালপক্বতা রোধ এবং খুশকির সমস্যা সমাধানেও কার্যকর।

অ্যালোভেরা: চুলের আর্দ্রতা ফেরাতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে নরম ঝলমল করতেও এই উপাদান কার্যকর। এতেও রয়েছে ভিটামিস সি, বি১২, ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ। এছাড়া রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদানও যা চুলের ডগা ফাটা এবং রুক্ষতার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

সজনেপাতা: সজনে গাছের পাতাও পুষ্টিগুণে ভরা। এ পাতায় ভিটামিন এ, ই, সি, বি পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে রয়েছে জিংক ও আয়রন। এসব উপদান চুল ঝরা রোধ, মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কীভাবে বানাবেন এই হেলথ শট?

দুই টেবিল চামচ আলমকির রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ সজনে পাতার গুঁড়া এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস অল্প উষ্ণ পানি বা ডাবের পানির সঙ্গে মেশাতে হবে; পরিমাণ হবে এমন যাতে এক চুমুকেই শেষ করা যায়। আর খেতে হবে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে।

আরও পড়ুন