রাতভর সড়কে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা আগেই জানিয়েছিলেন দাবি পূরণ না হলে তারা ফিরে যাবেন না। দুপুরে তারা ঘোষণা দিলেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না।
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন এ ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেলা দুইটার দিকে তিনি বলেন, “আমাদের অধিকার চাইতে, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না।”
“আমরা কারও বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি; কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসেনি। আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্য অধিকার নিয়ে এসেছি। আমাদের ওপর পুলিশ নির্বিচার হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা এবং অন্যায়,” যোগ করেন এই শিক্ষক।

৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা, জবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন ও প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনের তিন দফা দাবিতে তারা বুধবার পথে নামেন, যমুনামুখে লংমার্চ চলাকালে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ারও ঘটনা ঘটে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন।
ওই দাবিতে রাতভর কাকরাইল মোড়েই কাটান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের অবস্থানের কারণে ওই এলাকার সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, তৈরি হয়েছে যানজট।
শিক্ষার্থীরা সাড়া না পেয়ে নতুন করে হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিটি যুক্ত করেছেন চতুর্থ দাবি হিসেবে। তারা বলছেন, তাদের ‘জবি ঐক্য’ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না।
আগেরদিন দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে লংমার্চ করেন শিক্ষার্থীরা। পথে, পুলিশশের লাঠিপেটা-জলকামান-টিয়ারশেলে পণ্ড হয়ে যায় তাদের লংমার্চ, আহত হয় অর্ধশতাধিক ছাত্র ও শিক্ষক।
এরপর থেকেই কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন তারা। বুধবার রাতে সেখানে গিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তেমন কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
এ সংক্রান্ত আরও খবর:
কাকরাইলে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরাদের অবস্থান, দাবি আদায় হলে ছাড়বেন সড়ক
শীতল পানির পরশ নয়, লাঠিপেটা-জলকামান-টিয়ারশেলে পণ্ড লংমার্চ, আহত অর্ধশতাধিক