বিভিন্ন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে রোববার দেশের সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এসব বিষয়ের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে বিএনপির শঙ্কা, দুই স্থলবন্দর ঘিরে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি, জনপ্রশাসনের খবর বৃদ্ধি, শিশুদের টিকার সংকট ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ার ইস্যুগুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রবিবার কোন সংবাদপত্রের কী শিরোনাম এসেছে।

সমকাল
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ করছে বিএনপি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নির্বাচন ঘিরে সন্দেহ শঙ্কায় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টা চলছে বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, সেকেন্ড রিপাবলিক ও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে সময়ক্ষেপণের আয়োজন করা হচ্ছে বলেও মনে করে দলটি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যে লক্ষ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এভাবে চলতে থাকলে সেটি ধীরে ধীরে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে তারা ‘নির্বাচন প্রলম্বিত করার’ আয়োজন হিসেবে দেখছেন।
পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার যদি ‘অনির্দিষ্ট মেয়াদে’ ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মাঠের রাজনীতিতে থাকা বৃহৎ এই দলটি।
বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপচারিতায়ও একই ভাষ্য পাওয়া যায়।

প্রথম আলো
২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন এই নীতি কেমন ছিল তা নিয়ে সেই বিষয়ক খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘এক–এগারোর সময় মার্কিন নীতিতে বড় ভুল ছিল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ভাবনাকে যুক্তরাষ্ট্র বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব ছিল নির্বাচনের সময়সীমার ওপর। ওই সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন এই নীতি বড় ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপরাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালের রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে নিজের দেশের ভূমিকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল। ওই ঘটনা ওয়ান ইলেভেন বা এক-এগারো নামে পরিচিত। জন ড্যানিলোভিচ ওই সরকারের আমলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।

কালের কণ্ঠ
গত জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘৩০ জেলায় শিশুর টিকা সংকট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় গত জানুয়ারি মাস থেকে শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংকট এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক এই টিকা দেওয়া হয়।
এসব টিকার মধ্যে পিসিভি, আইপিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, এমআরের সংকট চলছে।
সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন শিশুদের মা ও স্বজনরা। এসব অভিভাবক কালের কণ্ঠকে জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকা দিতে না পারায় তাঁরা উদ্বিগ্ন।

ইত্তেফাক
দেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া সংক্রান্ত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি, কমেছে খোলা তেলের দাম’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজানের প্রথম সপ্তাহ পার হতেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমতির দিকে। ভোক্তাদের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হলো, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলেও এটা নিয়ে বড় কোনো সংকট তৈরি হয়নি। শুধু তা-ই নয়, খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। এছাড়া রমজানে সব সময় চাহিদার শীর্ষে থাকে এমন পণ্যগুলোর দামও কমছে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রতি বছর রমজান মানেই বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম চড়া থাকবে। কিন্তু এবার সয়াবিন ও লেবু বাদে অন্য পণ্যগুলোর দাম তেমন একটা বাড়েনি। এছাড়া, রমজানের এক সপ্তাহ পর এখন চাহিদা কমায়
পণ্যগুলোর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর বাজারে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।

যুগান্তর
রামগড় স্থলবন্দর ও ফেনী ইকোনমিক জোন চালু হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকি বাড়ার আশঙ্কা করছে বিজিবি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী ইকোনমিক জোন চালু হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকি বাড়ার আশঙ্কা করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক গোপনীয় প্রতিবেদনে বিজিবি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চলে চালু না করার সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ওই দুই স্থাপনা চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ফেনী-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চাপ বাড়বে। এই দুই স্থাপনায় যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারসংক্রান্ত চুক্তি সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বণিক বার্তা
জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে সরকারের খরচ বাড়ছে– এমন খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘সাশ্রয় নেই জনপ্রশাসনে, খরচ বেড়েই চলেছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছরের বাজেটে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ থাকে। এ বাবদ সরকারের প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণও বেশ বড়। প্রতি বছরই এ খাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এর আগের বছরের তুলনায় জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ সামনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়া হলে এর প্রভাবে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৩১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ৩০ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ খাতে ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে বাজেটে মোট ৮১ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত
দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে– এমন খবরকে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়াদিগন্ত। ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিত ‘মব’ সৃষ্টি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ‘মব’ তৈরি করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা নমনীয়তার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের প্ররোচনায় একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে কাজটি করছে বলে ধারণা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কয়েকটি গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। পুলিশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী এমনকি সাধারণ মানুষও ‘মব জাস্টিসের’ শিকার হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না বিদেশি নাগরিকরাও।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টেও বলা হচ্ছে ৫ আগস্টের পর দেশে মব ভায়োলেন্সের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় একের পর এক বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে দুষ্কৃতকারী ছাড়াও নিরপরাধ মানুষ। এর আগে এমন ঘটনা ঘটলেও তার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। হঠাৎ কে কখন মবের শিকার হবেন সেই আতঙ্ক কাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

আজকের পত্রিকা
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে পুলিশের বিশেষ তৎপরতা শুরু সংক্রান্ত খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রতিটি থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানা পর্যায়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেছে। পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ধরনের হয়রানি, মামলা করতে নয়; রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।
পুলিশের সূত্র বলেছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারেন। এ জন্য তাঁরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই আশঙ্কা থেকে তাঁদের গতিবিধি অনুসরণ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব থানা থেকে তাঁদের তালিকা সংগ্রহ করে সদর দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে নানা প্রস্তাবনা থাকলেও আন্তঃক্যাডারে ক্ষোভ দূর হয়নি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘বাড়ছে আন্তঃক্যাডার সংকট’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে নানা প্রস্তাবনা থাকলেও আন্তঃক্যাডারে ক্ষোভ দূর হয়নি। দিনদিন সংকট বাড়ছে। প্রশাসন বাদে ২৫ ক্যাডারদের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে দাবি আদায়ে সরব হয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারও। ক্যাডারে চলমান বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না থাকলে নিজেদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে যাবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উপসচিব পদে পদোন্নতিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল, সব ক্যাডারের সাম্যাবস্থা নিশ্চিত করাসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে গঠিত হয় বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিলে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি তুলে পরিষদ। রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে থেকেই নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

দেশ রূপান্তর
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে পড়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তরও। ‘উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় আরও পেছাল বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বিশ্বে প্রথম সারিতে ছিল বাংলাদেশ। এমডিজির ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ঘোষণা করে জাতিসংঘ। তবে এই অভীষ্ট অর্জনে শুরু থেকেই বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। এখন আরও পিছিয়ে পড়ছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ যে টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এসডিজি অর্জনে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৭তম। এর আগের বছর ১৬৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। আর ২০২২ সালে ১৬৩ দেশের মধ্যে ছিল ১০৪তম।