অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদ। নতুন বলে সাফল্য পাচ্ছেন নিয়মিত। মাঝে ও শেষেও ভালো করছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। টানা ভালো করে যাওয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তাসকিন, ১১ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ঢুকলেন সেরা ত্রিশে। পেলেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট।
ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে খেলার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের। ৮ দলের টুর্নামেন্টে দলের ভরাডুবির মাঝেও নিজেকে মেলে ধরেছেন তাসকিন।
আইসিসি বুধবার প্রকাশ করেছে ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ। এতে তাসকিনের পাশাপাশি উন্নতি হয়েছে তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলিরও।
ভারতের বিপক্ষে তাসকি ১ উইকেট নেন ৩৬ রানে। পরের ম্যাচে জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ওভার বোলিং করে ২৮ রানে নেন আরেকটি উইকেট।
এই বোলিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। পেসারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৩০ নম্বরে আছেন তিনি। তার রেটিং এখন ৫২৮।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে তাসকিনের আগের সেরা অবস্থান ছিল ৩৩। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর।
চার ধাপ পিছিয়ে তাসকিনের সঙ্গে যৌথভাবে ৩০ নম্বরে আছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আছেন ৩৬ নম্বরেই।
যথারীতি ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন মাহিশ থিকশানা।
ভারতের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১৮ ধাপ এগিয়েছেন হৃদয়। তরুণ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান উঠে এসেছেন ৬৪ নম্বরে। সেই ম্যাচে রেকর্ড জুটিতে ৬৮ রান করেন জাকের। পরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন ৪৫ রানের আরেকটি লড়াকু ইনিংস। ৬৪ ধাপ এগিয়ে ৯৪ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। এবারই প্রথম সেরা একশর ভেতরে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
এই দুই জন ছাড়া বাংলাদেশের অন্য সব ব্যাটসম্যান পিছিয়েছেন র্যাঙ্কিংয়ে। ২ ধাপ পিছিয়ে ২৭ নম্বরে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম ৯ ধাপ পিছিয়ে আছেন ৪২ নম্বরে। ৭ ধাপ পিছিয়ে ৪৩ নম্বরে আছেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। ৭ ধাপ পিছিয়েছেন মিরাজ, তিনি আছেন ৭৫ নম্বরে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষস্থান আরও দৃঢ় করেছেন ভারতীয় ওপেনার শুবমান গিল।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে নেই কোনো পরিবর্তন। শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নাবি।