আবাহনীর বিপক্ষে মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাওহিদ হৃদয় খেলতে পারবেন কি না- তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। কারণ আর কিছু নয়, আবারও ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন মোহামেডানের এই অধিনায়ক।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে এবার ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে হৃদয়ের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা চলে।
অবশ্য রোববারের আগে জানা যাচ্ছে না চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক যে সেদিনই বসবে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মোহামেডানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের ম্যাচে ৩৭ রান করে আউট হন হৃদয়। লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকের বলে ড্রাইভ করার চেষ্টায় ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। বল কিপারের গ্লাভসে লেগে উড়ে যায় পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে। আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
আউট দিতে দেখে হৃদয় পিচের দিকে ইশারা করে দেখানোর চেষ্টা করেন কিছু একটা, এরপর চুপ হয়ে উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছুক্ষণ। পরে মাঠ ছেড়ে যান মাথা নাড়তে নাড়তে। ব্যাট তার ব্যাটে লেগেছিল কি না, টিভি রিপ্লে দেখে সংশয়ের জায়গা আছে যথেষ্টই। তবে নিয়ম অনুযায়ী হৃদয়ের শরীরী ভাষায় আপত্তির জায়গা দেখেছেন আম্পায়াররা।
বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ নিশ্চিত করেন, হৃদয় আরেকটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন।
“কাল (রোববার) টেকনিক্যাল কমিটি বসে ঠিক করবে ও অফিসিয়ালি জানাবে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সে (হৃদয়) প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং আউট দেওয়ার পর বেশি সময় ক্রিজে থেকেছে। এটা লেভেল ওয়ান অফেন্স, এটার শাস্তি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও এক ডিমেরিট পয়েন্ট।”
“ওর আগেই সাতটি ডিমেরিট পয়েন্ট ছিল। এখন আটটি হলো। এটির মানে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।”
এই নিষেধাজ্ঞা এবারের লিগেই কার্যকর হবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ, হৃদয়ের আগের নিষেধাজ্ঞার বাকি অংশ তো কার্যকর হবে এক বছর পর! একই ডিমেরিট পয়েন্টের ধারার নিষেধাজ্ঞা এখন আবার এই লিগে কার্যকর করার সুযোগ আছে কি না, এই জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হবে টেকনিক্যাল কমিটিকে।
এই জটিলতা তৈরি হয়েছে আগের কয়েকদিনের বিতর্কের ধারাবাহিকতায়। গত ১২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচ চলার সময় আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন হৃদয়। ম্যাচের পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আম্পায়ারদের নিয়ে মন্তব্য করায় সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে করা হয় দুই ম্যাচ।
পরে নানা ঘটনাপ্রবাহের পথ ধরে দফায় দফায় শাস্তি বাড়ানো ও কমানো হয়। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিসিবি জানায়, হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পুরোনো শাস্তিই বহাল থাকবে, তবে এটির কার্যকারিতা পিছিয়ে যাবে এক বছর। এখন শনিবার নতুন করে ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এটির কার্যকারিতা এবারই হবে নাকি পিছিয়ে যাবে এক বছর।