কাশ্মীরেই লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা, ফের হামলার আশঙ্কা এনআইএ’র

nia

এখনও নিয়ন্ত্রণরেখা বেরিয়ে পাকিস্তানে পালায়নি ভারতের পেহেলগামে হামলাকারী জঙ্গিরা। দক্ষিণ কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে তারা, এমনটাই দাবি তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

ভারতীয় গণমধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, পেহেলগামে হামলার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এর বাইরে আর কারা যুক্ত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এনআইএ সূত্রের দাবি, হামলাকারী ওই জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে। তবে মূল হামলাকারীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে তারা।

মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় অন্য জঙ্গিরা লুকিয়ে। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য নিজেদের মতো রসদও সঙ্গে রেখেছে। বেঁচে থাকার জন্য অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে হচ্ছে না তাদের। আপাতত তারা আত্মনির্ভর।

এনআইএর সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এখনও কাশ্মীর ছাড়েনি জঙ্গিরা। কীভাবে হামলা, কোন পথে পালাল জঙ্গিরা? কোন গোপন অ্যাপের মাধ্যমে সংকেত আদানপ্রদান, স্থানীয় কেউ যুক্ত ছিল কিনা? এতবড় ঘটনা সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা বিভাগের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে, সবটাই খতিয়ে দেখছে এনআইএ। তবে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করাটাই প্রথম লক্ষ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।

এদিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার ভারোপাল গ্রামের কাছে জঙ্গি হামলার ছক ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ভারতের পাঞ্জাব পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।

তল্লাশি চালিয়ে দুটি হাত গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল, ৬টি ম্যাগাজিন ও ৫০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads