ইতিহাসনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণে জনপ্রিয়তা পাওয়া শ্যাম বেনেগাল আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে এই নক্ষত্র সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান বলে মেয়ে পিয়া বেনেগালের বরাতে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
বহু দিন ধরেই বা বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। এ ছাড়া কিডনি রোগও ছিল তার।
গত ১৪ ডিসেম্বর ছিল শ্যাম বেনেগালের জন্মদিন। সেদিনটিও পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে কাটিয়েছিলেন।
শারীরিক অসুস্থতায় জর্জরিত, তবুও কাজের মধ্যেই ছিলেন শ্যাম বেনেগাল। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস কতরতে হতো। কিন্তু ছবির কাজ থামেনি তাতেও।
ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী ও ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন শ্যাম বেনেগাল। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারও পান তিনি।
১৯৩৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদে জন্ম শ্যাম বেনেগালের। কোঙ্কনি পরিবারে জন্ম তার। মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন তিনি। তার বাবা ছিলেন পেশায় চিত্রগ্রাহক। সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি।
হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছিলেন তিনি। হায়দরাবাদ ফিল্ম সোসাইটি থেকেই ছবি নির্মাণের সফর শুরু হয়েছিল পরিচালকের।
‘মন্থন’, ‘জুনুন’, ‘আরোহন’, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’, ‘ওয়েল ডান আব্বা’, ‘মাম্মো’র মতো ছবি নির্মাণ করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল।
তার নির্মিত সবশেষ সিনেমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশেরও নাম।
২০২৩ সালে মুক্তি পায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তার নির্মিত শেষ ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন’।
সূত্র: আনন্দবাজার