শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটা আবার কেমন চাকরি! চুমুর দাগে মাপা বেতন! হ্যাঁ, ব্যাপারটা আশ্চর্য করার মতো হলেও সত্যি।
এই চাকরিতে চুল- দাড়িহীন পুরুষরাই যোগ্যতায় এগিয়ে।
কাজটা শুনতে খুব সহজ হলেও, একদম যে চাপ নেই তাও কিন্তু নয়। কারণ পুরুষকর্মীকে টানা আট ঘণ্টা বসে থাকতে হয় চেয়ারে, আর নারীরা ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে তার গালে, মাথায় চুমু খান।
পুরুষের সেই চুমুর দাগ দেখেই চলে গবেষণা। কেতাবি ভাষায় এই চাকরির নাম ‘লিপস্টিক টেস্টার’।
একটা লিপস্টিক তৈরির পর, বাজারে আসার আগে এভাবেই টেস্ট করে নেওয়া হয় লিপস্টিকের রং, গুণমান। এমনকী, কতক্ষণ এই লিপস্টিকের স্থায়িত্ব তাও এভাবে মেপে নেওয়া হয়। মুখে কোন রঙের লিপস্টিক কতটা গাঢ় ছাপ ফেলেছে, খুব সহজে তা মুছে ফেলা যাচ্ছে কিনা, পরীক্ষা করা হতো সেসব বিষয়।
পাঁচের দশকে এই চাকরি ছিল একেবারেই বাস্তবিক। লিপস্টিক প্রস্তুতকারী সংস্থার পক্ষে এমন এক পুরুষকে চাকরি দেওয়া হতো যার কাজ ছিল সারা দিন চুপচাপ বসে নারীদের চুমু খেয়ে যাওয়া।
এখন এমন চুমু উপভোগ করার পুরুষ থাকলেও, চাকরির সুযোগ কিন্তু আর নেই।