বৃহস্পতিবারের পত্রিকা : ‘ট্রাম্পের কথায় শঙ্কা এবার ওষুধশিল্পে’

newspaper

ভারতের কাছ থেকে এতোদিন বাংলাদেশের পেয়ে আসা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবরটিকে বৃহস্পতিবার প্রধান প্রতিবেদন করেছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যও গুরুত্ব পেয়েছে কয়েকটি সংবাদপত্র। এর বাইরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ওপর বিভিন্ন হারে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক ৯০ দিন বা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথার প্রেক্ষিতে ওষুধশিল্প নিয়ে নতুন শঙ্কা ও বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবরগুলোও গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে সংবাদপত্রগুলো। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

আজকের পত্রিকা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানো-কমানো নিয়ে যখন বৈশ্বিক পণ্যের বাজার টালমাটাল, তখন ওষুধশিল্পে নতুন শঙ্কার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘ট্রাম্পের কথায় শঙ্কা এবার ওষুধশিল্পে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানো-কমানো নিয়ে এখন বৈশ্বিক পণ্যের বাজার টালমাটাল। এরই মধ্যে ওষুধশিল্পে নতুন শঙ্কার খবর দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করা হয়, সেগুলোর ওপর ‘বড় ধরনের’ শুল্ক আরোপের চিন্তা করছেন ট্রাম্প। এতে সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।

সম্প্রতি ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই শুল্কনীতি গতকাল বুধবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে গতকাল বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ৯০ দিনের জন্য সেই শুল্ক স্থগিত করেন তিনি। অবশ্য চীনের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেন। এই পরিস্থিতিতে ওষুধশিল্পে নতুন শঙ্কার খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। গতকাল গণমাধ্যম দুটির খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির নৈশভোজে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আমদানিতে ট্রাম্প ‘বড় ধরনের’ শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি চিকিৎসা-বলেন, ‘কিছু দেশ ভর্তুকির চিকি ব্যবস্থা (পিবিএস) পরিচালনা করছে। এ দেশগুলো খুব চালাক।’

প্রথম আলো

বিশ্ববাণিজ্য টালমাটাল করে দেওয়া পাল্টা শুল্ক থেকে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরে আসার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেন ট্রাম্প’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ সময় পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে। অবশ্য চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গতকাল বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।’

কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশকে এতোদিন দিয়ে আসা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করল ভারত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে আকস্মিক দেশটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে উভয় দেশের শীতল সম্কর্ক আর ‘চিকেন নেক’ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে অনেকটা নীরবেই ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কথা জানায় ভারত। এতে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হলেও মূলত নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই ভারত তা বাতিল করেছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করলেও এমনটি মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও উল্লেখ করেছে, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করা ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল, ভুটানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। এর পরও বাংলাদেশ এটিকে বাধা হিসেবে দেখলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ জানাতে পারে।

সমকাল

বিশ্বের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বুধবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্য দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘বিশ্বকে বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হোন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকে বদলাতে চাইলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার বিশ্বকে বদলে দেওয়ার দুর্দান্ত সব আইডিয়া রয়েছে। এসব আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। তাই আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই, যেন আপনারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হোন।’

গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার শুরু হওয়া চার দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের সুযোগ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

ইত্তেফাক

বাংলাদেশকে এতোদিন দিয়ে আসা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। ভারতের সরকারি এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্থলবন্দর বা বিমানবন্দরগামী ভারতীয় স্থল কাস্টমস স্টেশন ব্যবহার করে বাংলাদেশি পণ্যবাহী কার্গোকে পণ্য পরিবহন করতে দেওয়া হবে না। ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয় ভারত। ৮ এপ্রিল সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের সার্কুলার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনী অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরই মধ্যে যেসব পণ্যবাহী কার্গো ভারতে প্রবেশ করেছে তাদেরকে ঐ সার্কুলারে দেওয়া প্রক্রিয়ার অধীনে ভারতীয় অঞ্চল থেকে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হবে। ভারতের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন ভারত ও বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  

যুগান্তর

বিশ্বের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বুধবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্য দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর।অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশশিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অদ্ভুত ধারণার (ক্রেজি আইডিয়া) এক দেশ। তবে এ ধারণাগুলো দেশটি বাস্তবে রূপ দিতে পারে। বদলে দিতে পারে বিশ্ব। এ দেশ সত্যিই এক অপার সম্ভাবনার। সুতরাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বিশ্ব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন। বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দীর্ঘ পথচলার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন এই নোবেল বিজয়ী। তুলে ধরেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশের নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অর্জনের কথা। কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে কাজ করেছে, তা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

বণিক বার্তা

সংশোধনের মাধ্যমে বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি শেষ করতে নতুন করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা।  ‘বিগত সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নকশার বিআরটি শেষ করতে ব্যয় বাড়বে আরো ৩ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গৃহীত সবচেয়ে ব্যর্থ প্রকল্পগুলোর একটি বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। দুর্বল পরিকল্পনা, অসম্পূর্ণ নকশা আর বিলম্বিত বাস্তবায়নে প্রকল্পটি পরিণত হয়েছে বোঝায়। প্রকল্পের কাজ ৯৭ শতাংশের বেশি শেষ। অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনো বিআরটি পরিষেবা চালুর উপযোগী হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে এ করিডোর কার্যকর করতে প্রকল্প সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পটি শেষ করতে নতুন করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে আরো চার বছর। এখন পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে নির্মাণ ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ৫০টি বাসসহ বিআরটি করিডোর পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে। করিডোরটি যাত্রীবান্ধব ও নিরাপদ করতে যুক্ত হবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। স্টেশন ও ডিপো ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় ঠিকাদারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করা হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিশ্ববাণিজ্য টালমাটাল করে দেওয়া পাল্টা শুল্ক থেকে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরে আসার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘ট্রাম্পের হঠাৎ ইউটার্ন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাণিজ্য টালমাটাল করে দেওয়া পাল্টা শুল্ক থেকে আপাতত সরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন তা একমাত্র চীন বাদে অন্য দেশগুলোর জন্য তিন মাস স্থগিত করেছেন। অন্য দেশগুলোকে ছাড় দিলেও চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তকে অনেকটা ইউটার্ন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর গত সপ্তাহে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্বস্তি পাবেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা।

নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশকে এতোদিন দিয়ে আসা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) গত মঙ্গলবার এক সার্কুলারে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ওই সার্কুলারে ২০২০ সালের ২৯ জুনের একটি সার্কুলার ‘অবিলম্বে’ বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য কনটেইনার বা কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে দেশটির অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল পুরনো ওই সার্কুলারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ ভারতের বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হয়েছে।

দেশ রূপান্তর

বাংলাদেশকে এতোদিন দিয়ে আসা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়ে যাওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: চীনা বিনিয়োগ ঠেকানোর কৌশল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এতে এখন থেকে বাংলাবান্ধা ও অন্যান্য স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে আর পণ্য রপ্তানি করা যাবে না। ভারতের এ সিদ্ধান্তকে একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। আর ব্যবসায়ীরা বিষয়টিকে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়ে সভা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিআইবিসি) এ সুবিধা বাতিল করে আদেশ জারি করে। এর পাশাপাশি ২০২০ সালের ২৯ জুন দেওয়া এ সংক্রান্ত আদেশও বাতিল করা হয়। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সংক্রান্ত সার্কুলারটি সিআইবিসির ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads