অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রকাশের খবর গুরুত্ব পেয়েছে দেশের প্রায় সব সংবাদপত্রেই। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলোর প্রায় সবগুলোই এই খবরটি দিয়েই তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। এর বাইরে দেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ ঘিরে সংকট বৃদ্ধি এবং ২০২৬ সালে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার খবরও গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বৃহস্পতিবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

কালের কণ্ঠ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর থেকে জুনের কথা বলা হয়েছে। তবে সরকারের এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি দলটি। অবশ্য ড. ইউনূস বিএনপিকে বারবার আশ্বস্ত করে বলেছেন, যে যা-ই বলুক না কেন, নির্বাচন কোনোভাবেই আগামী বছরের জুনের পরে যাবে না। এটা জাতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সরকারের একজন উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও অর্থনীতি ধ্বংস করে গেছে, তাতে দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
‘ব্যবসা-বিনিয়োগে সংকট বাড়ছে’ শিরোনামে কালের কণ্ঠের দ্বিতীয় প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের উচ্চ সুদ, জ্বালানির উচ্চমূল্য, অতিমূল্যায়িত ডলার, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ অভ্যন্তরীণ নানা সংকটের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্যবসা-বিনিয়োগ। বৈশ্বিক শুল্কযুদ্ধ নিয়ে রপ্তানি বাজারেও নানা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। শুধু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য কমে আসা মূল্যস্ফীতি ১২.৬৭ শতাংশ ছাড়ানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
শিল্প-কারখানার উদ্যোক্তারা বলছেন, গ্যাসের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে টিকবে না শিল্প খাত। নতুন বিনিয়োগ আসবে না, কর্মসংস্থানও পড়বে ঝুঁকিতে। বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রপ্তানি শিল্পে।
তাঁরা বলেছেন, শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোয় পুরো শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এর আগে ২০২৩ সালেও শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। এবারের মূল্যবৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বাড়তি দাম দিয়েও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি না পেলে বেসরকারি খাতের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমবে।

প্রথম আলো
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনায় বিএনপির অসন্তোষের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘সরকার বলছে ডিসেম্বর–জুনের মধ্যে নির্বাচন, ‘অসন্তুষ্ট’ বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়–তারিখ বা সুনির্দিষ্ট পথনকশার (রোডম্যাপ) বিষয়ে স্পষ্ট হতে চেয়েছিল বিএনপি। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে দলটি নির্বাচনের পথনকশার বিষয়ে স্পষ্ট হতে পারেনি। বরং ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) বক্তব্যে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’
বিএনপির নেতারা বৈঠকে স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁরা এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান। প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন, যা বিএনপি মেনে নেয়নি। এ বিষয়ে দলটির পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হয়, সেদিকে দৃষ্টি সবার। এত দিন নির্বাচনের ‘সময়’ ও ‘পথনকশা’ নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক কেবল বক্তৃতা বা সাক্ষাৎকারেই সীমাবদ্ধ ছিল। গতকাল বুধবার সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি।

সমকাল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নির্বাচনের সময় নিয়ে অসন্তুষ্টই থাকতে হচ্ছে বিএনপিকে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবির প্রতি আপাতত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্মতি আদায় করতে পারেনি বিএনপি। এ নিয়ে হতাশা চেপেও রাখেনি দলটি। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি গণমাধ্যমকে বলেছে, বৈঠকের ফলাফলে তারা একেবারেই সন্তুষ্ট নয়।
তবে নির্বাচন কোনোভাবেই ২০২৬ সালের জুনের পরে যাবে না- সরকারের দিক থেকে বিএনপিকে বারবার এমনটি আশ্বস্ত করা হয়েছে। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও সাংবাদিকদের তা-ই বলেছেন; ব্যাখ্যা করেছেন কারণও।
গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে উভয় পক্ষ। দুপুর সোয়া ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়।

ইত্তেফাক
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানালেও এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না পাওয়ায় বিএনপির অসন্তোষের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তবে, প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ডেডলাইন না পাওয়ায় ‘একেবারেই সন্তুষ্ট নয়’ দলটি। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই অসন্তুষ্টির কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত থাকা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেছেন-বৈঠকে আলোচনাকালে বিএনপির প্রতিনিধিদলকে তার কাছে মোটেই অসন্তুষ্ট মনে হয়নি। আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী নির্বাচন কোনোভাবেই আগামী বছরের জুনের পরে যাবে না। বিএনপিকে এটা ক্যাটাগরিক্যালি বোঝানো হয়েছে।
বৈঠকে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত করণীয় বিষয়ে প্রফেসর ইউনূসকে একটি দীর্ঘ চিঠি দিয়েছে বিএনপি। আলোচনাকালে দলটির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে, যেসব বিষয়ে সব দল ঐকমত্য হবে, সেগুলোতে চার্টার (সনদ) করতে তারা সম্মত রয়েছেন। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের দুই মাস আগে প্রধান উপদেষ্টা রোড ম্যাপ ঘোষণা করবেন।

যুগান্তর
জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় বিএনপির সন্তুষ্ট হতে না পারার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: মোটেই সন্তুষ্ট নয় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় মোটেই সন্তুষ্ট নয় বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন তাদের দেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টাকে বিএনপি তাদের অবস্থান জানিয়ে বলেছে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা সাংবাদিকদের জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দলীয় ফোরামে ও সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, এ মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তা নেই বিএনপির। তারপরও দলীয় ফোরাম ও সমমনাদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে যা করার তাই করবে বিএনপি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে বিএনপির অসন্তোষের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক: আলোচনার পর উত্তাপ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে সরকারপ্রধানের কাছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা (ভোটের তারিখ) চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ডেডলাইন দেননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বরাবরের মতোই ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদ নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই আগামী বছরের জুন অতিক্রম করবে না।

বণিক বার্তা
২০২৬ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘২০২৬ সালে রফতানি ছাড়াতে পারে ৫০ বিলিয়ন ডলার, আছে চ্যালেঞ্জও’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের রফতানি আয়ের বেশির ভাগ আসে তৈরি পোশাকের মাধ্যমে। রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে এখনো সফল হয়নি বাংলাদেশ। তবে বর্তমানেও যে সক্ষমতা আছে তাতে রফতানি আরো বেশি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর রফতানির পরিমাণ শত বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২০২৬ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। অবশ্য বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে এ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এডিবি সম্প্রতি ‘রোডম্যাপ ফর ইনভেস্টমেন্ট পলিসি রিফর্মস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে ২০২৬ সালে তৈরি পোশাক রফতানি ৫১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।

আজকের পত্রিকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপির অসন্তোষের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘অসন্তুষ্ট বিএনপি, চায় ডিসেম্বরেই নির্বাচন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অসন্তুষ্ট বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা আবারও জানিয়েছে দলটি।
বৈঠকে বিএনপিকে বলা হয়েছে, নির্বাচন কোনোভাবেই আগামী বছরের জুনের পরে যাবে না। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতে—বিএনপিকে এটি বোঝানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গতকাল বিএনপির বৈঠকটি হয়েছে দলটির আগ্রহে। বিভিন্ন বক্তব্যে দলটির মধ্যে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার সংশয় তৈরি হলে তা দূর করতে এবং এ বিষয়ে স্পষ্ট মনোভাব জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েছিল বিএনপি। সে অনুযায়ী বিএনপিকে গতকাল দুপুরে সময় দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

নয়া দিগন্ত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেটলাইন না পেয়ে বিএনপির হতাশা প্রকাশের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে অসন্তুষ্ট বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ডেটলাইন না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বিএনপি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল পৌনে দুই ঘণ্টার এই বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করেই বলেছি যে, ডিসেম্বর কাটঅফ টাইম। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয় তাহলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
অন্য দিকে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংসদ নির্বাচন হবে।’
বিএনপি বেশ কিছু দিন ধরেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দলটি নির্বাচন চায়। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে বারবার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের যে কথা বলা হচ্ছে, তাতে দলটি সন্তুষ্ট না হয়ে সংসদ নির্বাচন ঠিক কবে হবে, সে সম্পর্কে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়।

দেশ রূপান্তর
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেটলাইন না পেয়ে বিএনপির হতাশা প্রকাশের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘ইউনূস বিএনপি নিষ্ফল বৈঠক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তার (প্রধান উপদেষ্টার) বক্তব্যে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি রয়েছে সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে। সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’
গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।