বিদেশে সব ধরনের সহায়তা স্থগিত করলেন ট্রাম্প

trump-signs-executive-order-200125-01

বিদেশে সব ধরনের সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যে সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশটি সোমবারই জারি করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের ওই আদেশের কারণে নব্বই দিন দেশটির অধিকাংশ সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ থাকবে, পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত আসবে এসব কর্মসূচি বহাল থাকবে নাকি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।  

সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনৈতিক মিশনে বিষয়টি অবহিত করে তারবার্তা পাঠিয়েছেন।

এর ফলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বৈশ্বিক কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়বে।

সিএনএন লিখেছে, কংগ্রেসে রিপাবলিকান এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে বিদেশে সহায়তা আক্রোশের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, যদিও এই সহায়তার পরিমাণ সার্বিক মার্কিন বাজেটের তুলনায় নগণ্য।

এদিকে, নির্বাহী আদেশ এবং পরবর্তী তারবার্তার পর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির কর্মকর্তারা পড়েছেন বিপাকে।

ওই তারবার্তায় বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচি ‘বন্ধের’ নির্দেশের পাশাপাশি নতুন সহায়তা স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিদেশে মার্কিন সহায়তা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না’ তা পর্যালোচনার জন্য আগামী মাসে এ সংক্রান্ত মানদণ্ড প্রস্তুত করা হবে বলে তারবার্তায় বলা হয়েছে।

তার বার্তায় বলা হয়েছে, “এই পর্যালোচনার পরে সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা বা সমাপ্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”

৮৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওই তারবার্তায় বলা হয়েছে, এই ধরনের পর্যালোচনা ৮৫ দিনের মধ্যে শেষ করা উচিত।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে জরুরি খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ইসরায়েল ও মিশরের জন্য বিদেশি সামরিক অর্থায়নের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও ইউক্রেইন বা তাইওয়ানের মতো কোনো দেশের কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি সেখানে।

একজন মানবাধিকার কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, অর্থায়ন স্থগিতের কারণে কর্মসূচিগুলো অবিশ্বাস্যভাবে বিঘ্নিত হবে। আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্দিষ্ট অঞ্চলে সহায়তার কাটছাঁট বা পরিবর্তন হবে বলে আশঙ্কা করলেও ব্যাপক পরিসরে এমন তাৎক্ষণিক স্থগিতাদেশের জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না।

তারা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসূচি স্থগিত হওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তার যে চাহিদা রয়েছে, সেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প দাবি করেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা ব্যবস্থা ও আমলাতন্ত্র আমেরিকান স্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থী।”

আরও পড়ুন