চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরোপিত তাদের ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে নতুন এই শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নতুন এই হুমকির ফলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের আমদানি পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় চীন রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে।
এরপর সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প মঙ্গলবারের চীনকে তার আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সময় বেঁধে দিয়ে জানান, অন্যথায় তাদের নতুন করে ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে ‘অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন’ বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে, বেইজিং তাদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে।
ট্রাম্প যদি চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে মার্চে আরোপিত ২০ শতাংশ ও সম্প্রতি আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে নতুন এই ৫০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হওয়া চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ।
এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ আরও গভীর করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই শুল্ক চীনের উৎপাদকদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে, যাদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের শীর্ষ রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক পণ্য এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, খেলনা, যানবাহন ও বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম। অন্যদিকে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি করা পণ্যগুলোর মধ্যে তৈলবীজ ও শস্য, উড়োজাহাজ, যন্ত্রপাতি ও ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য উল্লেখযোগ্য।
ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প আরও জানান, অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী আরোপিত আমদানি শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন না।
তিনি বলেন, “আমরা তা ভাবছি না। অনেক, অনেক দেশ আছে যারা আমাদের সাথে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আসছে, এবং সেখানে ন্যায্য চুক্তি হবে।”