সব মিলিয়ে এখন বলাই যায় মধ্যপ্রাচ্য বিজয় করেই ফিরবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্তত যে হারে আর যে অঙ্কের চুক্তি করে চলেছেন তেল সমৃদ্ধ তিনটি ধনী দেশের সঙ্গে তাতে এই সফরকে ট্রাম্পের ‘মধ্যপ্রাচ্য বিজয়’ বললেও ভুল হবে না! সর্বশেষ সৌদি আরবের পর কাতারের সঙ্গেও বিশাল অংকের চুক্তি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্প ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বেশ কয়েকটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তির আওতায় কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের অর্থনৈতিক লেনদেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে ট্রাম্পের। এর আওতায় কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ৭৭৭ এক্স সিরিজের মোট ২১০টি উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করেছে।
এছাড়া কাতারের আল উদিদ বিমানঘাঁটি এবং অন্য আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে আমেরিকার।
এর আগে সৌদি আরবের সঙ্গেও চুক্তি করে আসেন ট্রাম্প। এবার তিনি যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)।
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করতে চলেছেন ট্রাম্প। সেখানে উপসাগরীয় দেশটির সেমিকন্ডাক্টর পাওয়ার হাউজ হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
এর আগে কাতার এয়ারওয়েজ বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রশংসা করেছেন তিনি।
কাতারের রাজধানীতে এক রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিনি চান না যে আলোচনা হিংসাত্মক পথে যাক।
এর আগে সৌদি আরবের কাছে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়, চুক্তির প্রথম দফায় জ্বালানি, নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় আমেরিকার কাছ থেকে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনবে সৌদি আরব।
১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সৌদি প্রতিরক্ষা খাতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ চুক্তির মাধ্যমে সৌদিকে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র এবং অন্যান্য সেবা দেবে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং মহাকাশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, সামুদ্রিক ও উপকূলীয় নিরাপত্তা, সীমান্ত নিরাপত্তা, স্থল বাহিনীকে আধুনিকীকরণ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ।
এ সম্পর্কিত আরও খবর:
সৌদি কিনবে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন সমরাস্ত্র, সিরিয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার