বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবরকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার দেশের সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদন সাজিয়েছে। সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত খবরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর নানামুখী তৎপরতার খবর যেমন আছে, তেমনি দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের খবরও জায়গা পেয়েছে। এর বাইরে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে বাংলাদেশের মানবিক করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুলে ধরা করা প্রতিবেদনও জায়গা পেয়েছে পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতায়। এর বাইরে সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ পুনরায় কার্যকর করতে সরকারের উদ্যোগ, ঈদের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেওয়া, দেশজুড়ে অনেক তরুণ-তরুণীর অনলাইন জুয়ায় আসক্তি, চাল নিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে আড়তমালিকদের প্রতারণা ও গ্যাস সংকটে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হওয়ার খবরও গুরুত্ব পেয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মঙ্গলবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে বা প্রথম পাতায় গুরুত্বের সঙ্গে ছেপেছে।

আজকের পত্রিকা
কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি আদায়ে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘মাঠে বিএনপির তরুণেরা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কারে সংবিধান সংস্কার কমিশনের করা বেশ কিছু মৌলিক প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার কথা বললেও বিএনপি অনড় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটের দাবিতে। কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি আদায়ে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে দলটি। এ জন্য মাঠে নামানো হচ্ছে নেতা-কর্মীদের। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে সেমিনার ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
পত্রিকাটির প্রথম পাতায় ‘বড় দলকে মোকাবিলার উপায় খুঁজছে এনসিপি’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনুপস্থিতিতে রাজনীতির মাঠ দখলে নিয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতির মাঠে বড় দলগুলোকে টেক্কা দেওয়ার উপায় খুঁজছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

প্রথম আলো
সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে সরকার ছয় মাস সময় বেঁধে দিলেও তাতে মালিকপক্ষের সাড়া মিলছে না– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার দাবি আবার আলোচনায়’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনটি আগে—জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এই প্রশ্ন আবার সামনে এসেছে। বছরের শুরুতেও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখন বিএনপির প্রবল বিরোধিতার মুখে বিষয়টি একরকম আলোচনার বাইরে চলে যায়। তবে সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি আবার তোলা হয়েছে। নতুন করে এই দাবি সামনে আনার কারণ কী, এর পেছনে কোনো কৌশল আছে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণ অধিকার পরিষদ—এই তিন দল গত সপ্তাহে স্পষ্ট করে বলেছে, তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। অন্যদিকে বিএনপি বরাবরই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে আসছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার দাবি এখন নতুন করে আলোচনায় এলেও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি বিএনপি।

সমকাল
সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ পুনরায় কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ ১৯৭৯: ২০ দিনে বরখাস্তের সুযোগ, বিশেষ বিধান পর্যালোচনা হচ্ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ পুনরায় কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের ২০ দিনের মধ্যে চাকরিচ্যুতিসহ তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে। শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আদালতের কাছেও প্রতিকার চাইতে পারবেন না।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে জারি করা এই অধ্যাদেশ রহিত হয়ে যায়। তবে ২০১৮ সালে সরকারি চাকরি আইন জারি হওয়ার আগ পর্যন্ত ‘কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ আইন, ২০১৩’ দ্বারা এ অধ্যাদেশটি বহাল রাখা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন অধ্যাদেশটি পর্যালোচনা করছে। এটি পুরোপুরি রাখা হবে, নাকি এর কিছু বিধান সরকারি চাকরি আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে– তা নিয়ে এখন কাজ চলছে।
এই বিশেষ বিধানকে সংশ্লিষ্ট অন্য সব আইনের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীর চাকরির শর্তাবলি সম্পর্কিত অন্যান্য আইন, বিধিমালা বা প্রবিধিমালায় যা-ই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশ কার্যকর হবে।

কালের কণ্ঠ
পবিত্র রমজান মাসে বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ঈদের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে শুরু হওয়া অস্থিরতার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘খাদ্যপণ্যে ক্রেতার হাঁসফাঁস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এখন আর তা নেই। ঈদের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে। গত দুই মাসের ব্যবধানে চিকন চাল (মিনিকেট), মোটা চাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, ফার্মের মুরগির ডিম—এই পাঁচটি পণ্যের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে সংগতি না থাকায় খাদ্যপণ্যের চড়া দামে চাপে পড়েছেন ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সক্রিয়তা ধারাবাহিক নয়। ভোক্তারা এতে পণ্যের বাজারে প্রত্যাশিত সুবিধা পাচ্ছেন না। তাঁরা বলছেন, তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছেন। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা বাড়বে।

ইত্তেফাক
দেশের অনলাইন জুয়ার সাড়ে ৩ হাজার সাইট বন্ধ হলেও অনলাইনে জুয়া চলছেই, যার কারণে তরুণ-তরুণীরা নিঃস্ব হচ্ছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘সাড়ে ৩ হাজার সাইট বন্ধ: তবুও চলছে অনলাইন জুয়া নিঃস্ব হচ্ছে তরুণ-তরুণীরা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যাবে দেশের কোনো তারকা বলছেন, ‘ঘরে বসে পুঁজি ছাড়াই আয় করতে চান? তাহলে এই অ্যাপে গেম খেলুন আর জিতে নেন লাখ লাখ টাকা।’ এমনই একটি অ্যাপ সিকে৪৪৪। এই অ্যাপের ব্যাপকভাবে প্রচারণা করছেন তরুণেরা। যেখানে লোভনীয় অফার ও অ্যাপে খেলার নিয়ম প্রচার করছে। আদতে এটি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এর প্রচারণা চলছে এবং অনলাইনে জুয়া খেলতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই অ্যাপে এন্ট্রি নেওয়া এক জন জানালেন, অনলাইন জুয়া খেলে তিন দিনে আয় করেছেন ২৯ হাজার টাকা। তবে ছয় মাসে হারিয়েছেন ২ লাখ টাকা। এরকমভাবে অর্থ হারানোর প্রবণতাই বেশি। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনলাইন জুয়ার আসরে।

যুগান্তর
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছাতে বাংলাদেশের মানবিক করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠা বিতর্কের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘রাখাইনের জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার: মানবিক করিডরে বিতর্ক’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ পৌঁছাতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। মিয়ানমারের রাজ্যটিতে আরাকান আর্মির উত্থানে সীমান্তে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে সর্বত্র চলছে নানা বিতর্ক। জাতিসংঘের অনুরোধে এ ধরনের করিডর দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হলেও বাংলাদেশের জন্যে ঝুঁকির আশঙ্কাও আছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, মানবিক করিডর দিতে নীতিগত সম্মত হলেও কিছু শর্ত রয়েছে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বললেও আশঙ্কা করা হচ্ছে-এমন করিডরের মাধ্যমে মূলত মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি লাভবান হবে। ফলে মিয়ানমারের সরকার এর প্রতিবাদ জানাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র স্বস্তিবোধ করলেও চীনের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। ফলে ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে বলছেন অনেকে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
একই চাল ভিন্ন নামে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বস্তাবন্দি করে ছাড়া হচ্ছে বাজারে– এমন খবর প্রথম পাতায় গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘চাল নিয়ে প্রতারণা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে নাজিরশাইল নামের কোনো ধান নেই। তারপরও হরেক নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল। একেক দোকানে একেক নামের ও নানা দামের নাজিরশাইলে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। সর্বনিম্ন ৬২ টাকা থেকে ৯৭ টাকায় বিভিন্ন বাজার ও সুপার শপে বিক্রি হচ্ছে নাজিরশাইল চাল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে চাল কেটে ও পলিশ করে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়। কখনো অর্ধসেদ্ধ আবার কখনো পূর্ণসেদ্ধ করে বাজারে বিক্রি করা হয়। স্থান-কাল-পাত্রভেদে একই চাল ভিন্ন নামে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বস্তাবন্দি হচ্ছে আড়তগুলোয়। আর ক্রেতাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।

বণিক বার্তা
গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ঢঅকা ইপিজেডে বেশির ভাগ শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন: ঢাকা ইপিজেডে বেশির ভাগ শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস সরবরাহ বাবদ বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতাকে কেন্দ্র করে সাভারে অবস্থিত ঢাকা ইপিজেডে (ডিইপিজেড) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিতরণ কোম্পানি তিতাসের কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে সেখানকার কারখানাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
গতকাল দুপুরের পর ঢাকা ইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সেখানকার রফতানিমুখী বেশির ভাগ শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে বেশির ভাগ কারখানাই ঠিকমতো উৎপাদনে যেতে পারেনি। ঢাকা ইপিজেড-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ শিল্প-কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নয়া দিগন্ত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশের মানবিক করিডোর প্রদান নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘রাখাইনে মানবিক করিডোর ইতিবাচক হতে পারে, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সতর্ক আশাবাদ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াইয়ের কারণে উত্তর রাখাইনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশ থেকে মানবিক করিডোর তৈরিতে শর্তসাপেক্ষে সম্মত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো বেশ আগে থেকেই এই মানবিক করিডোর তৈরির আহ্বান জানিয়ে আসছিল। গেল মাসে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের বাংলাদেশ সফরের সময় ইস্যুটি নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের ওই সফরের অন্যতম লক্ষ্য ছিল রোহিঙ্গাদের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা।

দেশ রূপান্তর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়ে ‘কিংবদন্তি’ আখ্যা পাওয়া মুয়ীদ চৌধুরীকে নিয়ে করা প্রতিবেদন দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘নামেই তিনি ‘কিংবদন্তি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের তিন দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে গিয়ে মুয়ীদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘বিমানকে দিতে এসেছি, কিছু নিতে আসিনি।’ ওইদিনের মতবিনিময় সভায় বক্তারা তাকে বিমানের ‘কিংবদন্তি’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
সেই কিংবদন্তি কী সংস্কার করেছেন জানতে চাইলে বিমানের এক পরিচালক স্মৃতি হাতড়ে কিছুই পেলেন না। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার তো দেখি না। সব আগের নিয়মেই চলছে। যাওবা একটু করেছেন, জনপ্রশাসনের জন্য করেছেন; বিমানের জন্য কিছু করেননি।’ অথচ বিমানের জন্যই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জনপ্রশাসনের জন্য একখানা সুপারিশ করলেও, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে।