লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে এক আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ‘নীতি বহির্ভূত’ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

ব্রিটেনের পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ সালে দেশটির এক আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফের কাছ থেকে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন টিউলিপ।

টিউলিপ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী; তার মা শেখ রেহানা বাংলাদেশে রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।

হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অর্থ কেলেঙ্কারির পেছনে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী শেখ রেহানার হাত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। 

ব্রিটিশ সরকারের জমি ও আবাসন দপ্তরের ‘মালিকানা হস্তান্তর নথি’ প্রকাশ করে ওই খবরে দাবি করা হয়েছে, মোতালিফের কাছ থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা গ্রহণের বিনিময়ে কোনও অর্থ দিতে হয়নি টিউলিপকে।

ফ্ল্যাটটি হস্তান্তরের সময় অবশ্য টিউলিপ মন্ত্রী বা পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন না; তার খালা শেখ হাসিনাও ছিলেন না ক্ষমতায়।

২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা) দিয়ে ফ্ল্যাটটি কেনা হয়।

নথিতে ফ্ল্যাটের দাম উল্লেখ করা না থাকলেও একই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাট গত আগস্টে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (প্রায় ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা) বিক্রি হয়েছে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে টানা চার বার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ, হাউস অফ কমন্সের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সত্তরোর্ধ্ব মোতালিফ ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ঘনিষ্ট’ হিসেবেই পরিচিত।

মোতালিফ বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা। ভোটার তালিকায় উল্লেখিত ঠিকানায় তাকে পাওয়া যায়নি; ওই ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিও বসবাস করেন।

মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

মোতালিফের ঘনিষ্টদের ব্যাখ্যা, ব্যবসায় মন্দার সময় তাকে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন টিউলিপের মা শেখ রেহানা। তাই কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের মালিকানায় থাকা ‘একটি সম্পদ’ টিউলিপকে দিয়েছিলেন মোতালিফ।

গত ৫ অগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় তার সঙ্গী ছিলেন টিউলিপের মা রেহানা।

দুই বোন এক সঙ্গে ভারতে গেলেও ব্রিটিশ নাগরিক রেহানা ব্রিটেনে চলে যান।

আরও পড়ুন