ইরানে সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালিয়ে দুই জ্যেষ্ঠ বিচারককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাজধানী তেহরানের এ ঘটনায় নিহতরা হলেন আলি রাজিনী এবং মোহাম্মদ মঘিসেহ।
দুই জনই হুজ্জাত আল-ইসলামের মর্যাদা অর্জন করেছিলেন এবং আদালতের ভিন্ন দুটি শাখার প্রধান ছিলেন।
আদালতে সশস্ত্র এক ব্যক্তি প্রবেশে করে তাদের ওপর গুলি চালায়।
পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীও আত্মহত্যা করে বলে দেশটির বিচার বিভাগীয় সংবাদ ওয়েবসাইট ‘মিজান’ জানিয়েছে।
হামলায় এক বিচারকের দেহরক্ষীও আহত হয়েছেন।
আদালতের মতো নিরাপদ জায়গায় এই হামলার কারণ স্পষ্ট না হলেও কথিত আছে দুই বিচারকই গত শতকের ৮০ ও ৯০ এর দশকে ইসলামী শাসনের বিরোধীদের ওপর অত্যাচার এবং হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা পালন করেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগের মিডিয়া অফিসে এই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।
হামলায় জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
আদালতের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, হামলাকারী আদালতে একটি পিস্তল নিয়ে প্রবেশ করে এবং গুলি চালায়।
নিহতদের মধ্যে রাজিনি ইরানের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের একজন। এরআগে ১৯৯৮ সালেও একবার তার ওপর হামলা হয়।
আরেক বিচারক মঘিসেহ ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন। ওই সময়ে তিনি তেহরান রেভলিউশনারি কোর্টের বিচারক ছিলেন।
পরে ২০২০ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন।
২০২৩ সালে ‘মোটা দাগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ দায়ে কানাডা ইরানের যে সাত বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন মঘিসেহ।
সূত্র বিবিসি/আলজাজিরা