রাখাইনের জন্য করিডোর আর চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার তোরজোরের মধ্যে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিল কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি।
বুধবার সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু স্থিরচিত্র ছড়িয়ে পড়ে যেগুলোতে মার্কিন সেনাবাহিনীর পোশাক পরা বেশ কয়েকজনকে দেখা যায়। এর পর থেকেই মূলত তা নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা।
অনেকেই ফেইসবুকে ছবি শেয়ার করে এরকম সময়ে মার্কিন সদস্যদের উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হুমকির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি প্রশিক্ষণের জন্য মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনী সদস্যদের একটি দল কক্সবাজারে রয়েছেন। ১৮ মে ওই প্রশিক্ষণ শুরু হলেও মার্কিন সেনা সদস্যরা কবে সেখানে এসেছেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। বুধবার চার দিনের ওই প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।
বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়কবলিতদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রশিক্ষণের জন্য তারা কক্সবাজার সৈকতে এসেছেন বলে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দাবি করা হয়েছে।

কক্সবাজার সৈকতের প্যারাসেলিং পয়েন্টে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সমাপনী দিনে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ বিতরণ করেন প্রশিক্ষকরা।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, “বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহযোগিতায় সেদেশের সেনা ও বিমান বাহিনীর কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের।”
পুরো প্রশিক্ষণ পর্ব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে, যাতে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন কর্মী অংশ নিয়েছেন এবং মার্কিন সেনা ও বিমানবাহিনীর নয় সদস্য তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।