কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের পর সিনেটেও সায় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত একটি অর্থবিল, যার মধ্য দিয়ে এড়ানো গেল ‘শাটডাউন’।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায় সিনেট প্রতিনিধিদের ভোটাভুটিতে বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান বিলটির পক্ষে ভোট দেন। পক্ষে ভোট পড়ে ৮৫ এবং বিপক্ষে ১১ জন ভোট দেন।
অবশ্য বিলটিতে ট্রাম্পের সব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের পর বিলটি আইনে পরিণত হবে।
অর্থবিলটি ছাড় না পেলে লাখ লাখ ফেডারেল কর্মচারীকে অস্থায়ী অবৈতনিক ছুটিতে যেতে হতো অথবা বেতন ছাড়াই কাজ ছেড়ে দিতে হতো।
শাটডাউন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কংগ্রেস প্রতিনিধি পরিষদে বিলটির ওপর ভোটাভুটি হয়, যাতে পক্ষে ভোট দেন ৩৬৬ জন এবং বিপক্ষে ৩৪।
বিলটি পাস হওয়ায় আগামী মধ্য–মার্চ পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাগুলোর তহবিলের জোগানের আশঙ্কা দূর হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প-সমর্থিত এ অর্থবিল প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের জন্য সেদিন পরিষদে আনা এ বিলের বিরুদ্ধে ৩৪ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দেন।
এর মধ্য দিয়ে তারা বিলটি পাসে ট্রাম্পের আহ্বানের বিরুদ্ধে দাঁড়ান।
বিলটি পাস হতে ব্যর্থ হলে শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো।
ভোটাভুটির পর ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসসদস্য বেনি থম্পসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আজ আমাদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বিভক্তি নয়; বরং সহযোগিতা করার পক্ষে তাদের যে প্রতিশ্রুতি, তা জোরালভাবে রক্ষা করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এমন একটি সরকার চায়, যা তাদের জন্য কাজ করবে।’
সর্বশেষ শাটডাউনটি ছিল ২০১৯ সালে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এবং সেটি ৩৫ দিন স্থায়ী হয়েছিল, যা মার্কিন ইতিহাসে দীর্ঘতম।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন, এবিসি নিউজ