মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অধীনে আরও ৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে গত কয়েক মাসে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ১৪৮ জনে পৌঁছালো।
শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের পৌঁছার কথা রয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, এই দফায় ফেরত আসার সংখ্যা প্রথমে ৬০ জনের কথা বলা হলেও পরে ৩০ জন ফেরত আসছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
এবার যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের বিষয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন ঢাকায় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।
একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বিমানে করে তাদের পাঠানো হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অধীনে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এর আগে বিভিন্ন সময় আরও ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি।
এর মধ্যে গত ২৭ মে থেকে ২৭ জুলাই দুই মাসে বিভিন্ন ফ্লাইটে করে ১৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। ২৭ মে একজন, ২ জুন একজন, ৬ জুন একজন, ১৭ জুন একজন, ১৮ জুন দুইজন, ১৯ জুন একজন, ২০ জুন দুইজন, ৭ জুলাই একজন ১৮ জুলাই একজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া গত ৩ জুলাই যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে আরও একজন বাংলাদেশিকে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি।
ভারত, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানো নিয়ে মানবাধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তোলেন।
বাংলাদেশের কাউকে এখনও হতকড়া পরিয়ে কিংবা তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানো শুরু করে দেশটি।
পুলিশ সূত্র জানায়, অভিবাসনসংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ার পরেও যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন মূলত তাদেরই ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন মামলায় সাজা হয়েছে এমন ব্যক্তিরাও রয়েছেন।