যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটিতে আবারও বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় আছড়ে পড়ে যাত্রীবাহী একটি ছোট উড়োজাহাজ।
বিমানটিতে ক্রুসহ মোট ৬ জন আরোহী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। যাত্রীদের মধ্যে একজন শিশুও ছিল। তাদের কেউই বেঁচে নেই।
লিয়ারজেট ৫৫ মডেলের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এটি মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
বিমান চলাচলের তথ্য অনুযায়ী, উড্ডয়নের পর ১ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল প্লেনটি। কিন্তু এরপর আকস্মিকভাবে প্রতি মিনিটে ১১ হাজার ফুট গতিবেগে নিচে নামতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাটিতে আছড়ে পড়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে আগুন আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ও যানবাহনে ছড়িয়ে পড়ে। ফিলাডেলফিয়ার ফায়ার সার্ভিস পরে তা নিভিয়ে ফেলে।
জেট রেসকিউ নামে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি উড়োজাহাজটি পরিচালনা করছিল। কোম্পানিটি জানিয়েছে, বিমানটিতে একজন শিশুরোগী, তার একজন অভিভাবক ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন।
দুর্ঘটনার পরপর সাময়িকভাবে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হলেও পরে খুলে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে তিনি লিখেছেন, “পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। কয়েকজন নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হারিয়ে গেলেন। আমরা ইতোমধ্যে সেখানে সরকারি উদ্ধারকারী বাহিনীর লোকজন পাঠিয়েছি। ঘটনার পর প্রথম যারা এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের প্রশংসা প্রাপ্য।”
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে উড়োজাহাজের ৬৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়। ২০০৯ সালের পর এটিই যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা। এর মাত্র তিন দিন পর আবার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল যুক্তরাষ্ট্রে।
রয়টার্স ও সিএনএন অবলম্বনে