বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক খবর দিয়ে বুধবার প্রকাশিত সংবাদপত্রগুলো তাদের প্রধান প্রতিবেদনে সাজিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে করা খবরগুলো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মূল বাধাগুলো কী, জিডিপির ‘অতিরঞ্জিত’ তথ্য সংশোধন না হওয়া, ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে না করে দেশেই বিচারের ব্যবস্থা করার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তৈরি করা খবরগুলোও গুরুত্ব পেয়েছে সংবাদপত্রগুলোতে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বুধবার কোন সংবাদপত্র কোন খবরকে প্রধান শিরোনাম করেছে।

কালের কণ্ঠ
পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে কালের কণ্ঠ। ‘শুল্কযুদ্ধে তছনছ বিশ্ববাণিজ্য’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যেও একই পরিমাণ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর জের ধরে চীনা পণ্যের ওপর আরো ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াাইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হচ্ছে। বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে।
গত সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে তবে অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক বাসানো হবে। বুধবার থেকেই বাড়তি এ শুল্ক কার্যকর হবে।’ এ ছাড়া চীনের অনুরোধে আলোচনায় বসার সম্ভাবনাও বাতিল করা হবে বলে জানান ট্রাম্প। গতকাল আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি করতে মুখিয়ে আছে চীন। তবে তারা জানে না কিভাবে এর সূচনা করতে হবে। আমরা চীনের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। চুক্তি হবে।’
এর আগে গত মার্চে চীনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সব মিলিয়ে চীনের তৈরি পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসতে যাচ্ছে।

প্রথম আলো
বাংলাদেশে ব্যবসায় পরিবেশ তথা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো পাঁচটি বড় বাধা রয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে প্রথম আলো। ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম, বড় বাধা পাঁচটি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে। জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ দেশে ব্যবসায় পরিবেশ তথা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো পাঁচটি বড় বাধা রয়েছে। এগুলো হলো বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাত নিয়ে ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার বিনিয়োগ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত চার দিনের এ বিনিয়োগ সম্মেলনের গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন।
প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব বাধা আগের মতোই রয়েছে, অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।

সমকাল
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের ভাবনা জানতে এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে সমকাল। ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসবে বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে যেসব বক্তব্য আসছে, তাতে পরিষ্কার কোনো বার্তা নেই বলে মনে করছে বিএনপি। বরং দেশে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে জনমনে। এ অবস্থায় সরকারের ভাবনা জানতে এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সময় চাওয়া হয়েছে।
বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক যত সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো সরকার এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে পারে। বাকি সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে করা যাবে।

ইত্তেফাক
ট্রাম্পের পালটা শুল্ক আরোপের পর থেকেই দেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে ইত্তেফাক। ‘যুক্তরাষ্ট্রে ক্রয়াদেশ ও পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা রপ্তানিকারকদের’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আর সেই পোশাক রপ্তানির একক বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ১৮ শতাংশের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ট্রাম্পের পালটা শুল্ক আরোপের পর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা। অনেক উদ্যোক্তাই পণ্যের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। কারণ মূল ক্রেতার কাছে থেকে বাড়তি দাম আদায় করা কঠিন। সে কারণে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনার চাপ আসছে।

যুগান্তর
সাগরে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে যুগান্তর। ‘সাগরের বুকে নতুন সন্দ্বীপ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা, কাউয়ারচরসহ বিলীন ৫২১ বর্গকিলোমিটার এলাকা ফের সন্দ্বীপের মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে। ১৯৫৫ সালের জরিপে সন্দ্বীপের মোট আয়তন ছিল ৬০৩ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বঙ্গোপসাগর গ্রাস করায় এর মূল ভূখণ্ডের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৮২ বর্গকিলোমিটার। নতুন করে চর জাগলেও কাগজপত্রে বিলীন হয়ে যাওয়া সন্দ্বীপের সঙ্গে তা যোগ হয়নি। পতিত হাসিনা সরকারের আমলে খোদ দ্বীপের একটি সিন্ডিকেট নতুন চরগুলোর বেশিরভাগ অংশ নোয়াখালীর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সন্দ্বীপ-নোয়াখালীর এই সীমানা বিরোধ ফের সামনে আসে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দ্রুত সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বঙ্গোপোসাগরের বুক চিরে তৈরি হচ্ছে বিশালায়তনের নতুন এক সন্দ্বীপের। নতুন সন্দ্বীপের বর্তমান মোট আয়তন ৭২১ বর্গকিলোমিটার বেশি হতে পারে। তাদের মতে, সাগরে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দ্বীপটি। ইতোমধ্যে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর, উরিরচর নানাভাবে সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে গেছে। পলি জমে চরগুলোর আয়তনও বাড়ছে। তাদের মতে অদূর ভবিষ্যতে এসব চর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হবে বিশাল এক দ্বীপাঞ্চল। বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) এক গবেষণাতেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বণিক বার্তা
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের ‘অতিরঞ্জিত’ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এখনও সংশোধন হয়নি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বণিক বার্তা। ‘জিডিপির অতিরঞ্জিত তথ্য এখনো সংশোধন হয়নি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। এজন্য বছরের পর বছর ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), মাথাপিছু আয়, রফতানির তথ্য বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সংশোধন করা হবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও সেই অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের কবল থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত পরিসংখ্যান তৈরির আগের কাঠামো বহাল থাকার পাশাপাশি অতীতের সব পরিসংখ্যান সংশোধনে সার্বিক উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এ দুটো কারণেই সরকার এখনো আগের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান থেকে বের হতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের মান নিয়ে দাতা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছে। ‘কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম: চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক’ শিরোনামে ২০২২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে ১৩০টি দেশের ৩০ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ বলা হলেও এর প্রকৃত হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি হিসাবে ১০ বছরে গড় প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। তাছাড়া সংস্থাটির পরিসংখ্যান সক্ষমতার সূচকেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ক্রমেই নিম্নমুখী।

বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছয়টি বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দ্বিমত রয়েছে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ‘ত্রিমুখী অবস্থানে তিন দল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবে ত্রিমুখী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
ছয়টি বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে রয়েছে দ্বিমত। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সংস্কার কতটা করতে হবে এ নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। গত মাসের শুরুতে ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশ, পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজকের পত্রিকা
দেশে প্রায় ১২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়নি– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে আজকের পত্রিকা। ‘‘পরের’ জমিতে ১২ হাজার স্কুল’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর গেন্ডারিয়ার শিশুরক্ষা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে। বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড না থাকায় ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মামলা চলেছে। কিছুদিন আগে মামলার রায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুকূলে এলেও জমিটি এখনো বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে বাংলাদেশ সার্ভের (বিএস) রেকর্ডভুক্ত হয়নি।
মিরপুরের বনফুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জমিটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের নামে রেকর্ডভুক্ত। এই জমির মালিকানাও বিদ্যালয়ের নয়।
শুধু এই দুটি বিদ্যালয় নয়, সারা দেশে প্রায় ১২ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়নি। এসব বিদ্যালয়ের জমির কোনোটি বিএস রেকর্ডে ব্যক্তির নামে, কোনোটি খাস, আবার কোনোটি অন্য মন্ত্রণালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।

নয়া দিগন্ত
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসিতে নয়, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ‘গণহত্যার’ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশে হবে– এমন খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে নয়া দিগন্ত। ‘আইসিসিতে নয়, গণহত্যার বিচার হবে বাংলাদেশে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসিতে নয়, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশে হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলোর বিচার বাংলাদেশের এই ট্রাইব্যুনালেই করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই বিষয়টি আইসিসিতে প্রেরণ করতে চাই না। এটা আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। আমরা চাই আইসিসি যদি আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয় নেব। এখানেই বিচার হবে। তবে তারা যদি আমাদের বিভিন্ন টেকিনিক্যাল সাপোর্ট দেন সেটি আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। যেমনটি আমরা জাতিসঙ্ঘের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। তারা আমাদের প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করেছেন। যে তদন্ত তারা করেছেন সেই রিপোর্ট আমাদের দিয়েছেন। সুতরাং সেই ধরনের সহযোগিতা যদি আইসিসি থেকে আসে আমরা সেটি গ্রহণ করব; কিন্তু মামলাগুলো বিচারের জন্য আইসিসিতে প্রেরণ করা হবে না। এটাই এখন পর্যন্ত আমাদের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত।

দেশ রূপান্তর
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সোমবার বাংলাদেশে হওয়া বিক্ষোভ-সমাবেশের খবর দিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে দেশ রূপান্তর। ‘স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় বিএনপি’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপি আবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। কয়েক মাস ধরে দলটি নির্বাচনের একটি স্পষ্ট পথনির্দেশিকার দাবি জানিয়ে আসছিল এবং এ বিষয়ে একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ পেতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে সংস্কার ইস্যু সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাও নিতে চাইবে দলটি। গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর এটি ছিল দলের নীতিনির্ধারকদের প্রথম বৈঠক।