ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিশোধ নিতে ভারত ঘোষণা করেছে ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ (বুনিয়ান মারসুস) ।
পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার ভোর থেকে ভারতে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পাক সেনার বক্তব্য, ভারতের হামলার পর প্রতিশোধ আবশ্যিক ছিল। সেই কারণেই এই আক্রমণ। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে রজৌরিতে সরকারি আধিকারিক-সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতের জম্মুর শম্ভু মন্দিরেও।
পাকিস্তানের এই এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘বুনিয়ানুম মারসুস’।
বুনিয়ানুম মারসুস কোরআনের একটি আয়াত।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি একটি আরবি শব্দবন্ধ। এর অর্থ ‘শিসার তৈরি কাঠামো’।
কোরআনের ওই আয়াতে বলা হয়েছে, ‘‘আল্লা তাদেরই ভালবাসেন, যারা যুদ্ধের ময়দানে তার দেখানো পথে লড়াই করেন, শিসার তৈরি শক্ত কাঠামোর মতো।’’
‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’-এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভারতে একাধিক হামলা চালানোর দাবি করেছে পাক সেনা।
পাকিস্তানের সরকারি সংবাদমাধ্যম পিটিভিকে উল্লেখ করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন এই হামলার একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাতে বলা হয়েছে—
- ভারতের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয় সাইবার হানা চালিয়েছে পাকিস্তান। বিদ্যুৎ গ্রিডের অন্তত ৭০ শতাংশ অকার্যকর হয়ে গেছে।
- আদমপুরে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর জেএফ-১৭ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র।
- রাজৌরিতে ভারতের সামরিক গোয়েন্দাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যেখান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সংগঠিত করা হয় বলে দাবি, সেখানে হামলা চালানো হয়েছে।
- নিশানা করা হয়েছে ‘কেজি টপ’ ব্রিগেডের সদর দফতর।
- উরিতে সরবরাহকারী গুদাম, আদমপুর, উধমপুর, পঠানকোট এবং সুরাতগড়ের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিয়াসে ‘ব্রহ্মস’ সংরক্ষণাগারে আঘাত হানা হয়েছে।
তবে এ সবই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের দাবি। ভারতের পক্ষে এই দাবির কোনও সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। মঙ্গলবার পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’।
পাকিস্তান তারই পাল্টা হিসাবে নতুন অভিযান ঘোষণা করল ভারতের বিরুদ্ধে। ভারত-পাকিস্তান এই সংঘাতের দিকে নজর রেখেছে গোটা বিশ্ব।