দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমান থেকে উদ্ধার করা দু’জনই বিমানকর্মী। এ পর্যন্ত ১৭৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম। আশঙ্কা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া দু’জন ছাড়া বাকিরাও আর বেঁচে নেই।
কিন্তু কী ভাবে এত মানুষের মৃত্যু হল? ঠিক কী ঘটেছিল মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে?
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনেক যাত্রী আতঙ্কে বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। নিচে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, বিমানে আগুন ধরে যাওয়ায় ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের সময়ে তার চাকা খোলেনি। ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান। রানওয়ে ছুঁলেও বিমান দাঁড় করানো যায়নি।
সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। রানওয়ে ধরে জোর গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় উড়োজাহাজটির কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না।
একপর্যায়ে উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা একটি প্রাচীরে গিয়ে প্রচণ্ডবেগে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের বড় লেলিহান আকাশের দিকে উঠে যায়। পরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল। তাতে ছিলেন ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী।
মুয়ান শহরে অবতরণের সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে, যাকে স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনার মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ঘটলো আরেকটি দুর্ঘটনা।