কী আছে ইসরায়েলের নতুন নিরাপত্তা কৌশলে

IDF

ভূমধ্যসাগরের ওপরে দুই হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থান মাউন্ট হারমনের। এর চূড়ায় দাঁড়িয়ে একজন ইসরায়েলি সেনা নিচের উপত্যকার দিকে তাকিয়ে আছেন। উপত্যকাটি এখন হাজার হাজার ইসরায়েলি সেনা, অন্তত নয়টি নতুন চৌকি, পাকা রাস্তা ও সদ্য খোঁড়া পরিখায় পূর্ণ।

ওই সেনা যে এলাকার ওপর চোখ রাখছিলেন তা তা গত ডিসেম্বরের শুরুতে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করা হয়। ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে একটি আক্রমণে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পরই ওই এলাকা দখল করে নেয় ইসরায়েল।

ইসরায়েলের অন্য সীমান্তেও এখন এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দেশটির সেনারা লেবাননে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। গাজায় বড় এলাকাজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ঘরবাড়ি।

মাউন্ট হারমনে অবস্থানরত এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “এ এক নতুন বিশ্ব।” তিনি আরও জানান, গোলান মালভূমিতে থাকা ডিভিশনটি এখন সিরিয়ার দিকে যাচ্ছে।

প্রতিবেশি দেশের ভূখণ্ড দখলের ঘটনা ইসরায়েলের একটি নতুন, আক্রমণাত্মক সামরিক নীতির প্রতিফলন। এই নীতি মধ্যপ্রাচ্যকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ভয়াবহ হামলার পর এবং এরপর ছড়িয়ে পড়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে।

ইসরায়েল এখন আর শুধু সীমান্ত প্রাচীর বা আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে না। বরং তারা প্রতিবেশি দেশ থেকে এলাকা দখল, বাফার জোন তৈরি করছে এবং বৈরুত ও দামেস্ক পর্যন্ত বিমান হামলা চালাচ্ছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, এই দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম ৭ অক্টোবরের হামলা থেকে পাওয়া শিক্ষা ও মানসিক আঘাতের ফল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি তদন্তে বলা হয়েছে, গাজায় হামাসকে শক্ত অবস্থান গড়তে দেওয়াই ছিল বড় ভুল।

এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বলেন, “দরজার সামনে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি হতে দেওয়া যায় না।”

গত মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি।”

কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত ভাঙছে। প্রতিবেশি দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে এবং—দেশ-বিদেশের সমালোচকদের মতে—এই নীতি নতুন সংঘর্ষ ও উত্তেজনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ইসরায়েলের গাজায় নতুন করে শুরু করা সামরিক অভিযান এবং সিরিয়া, লেবানন ও পশ্চিম তীরে এর সম্প্রসারণমূলক কর্মকাণ্ড অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

লেবাননের নেতারা বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবানন থেকে সরে না গেলে “শান্তি সম্ভব নয়” এবং “দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা অর্জন করা যাবে না।”

সিরিয়ার একটি গ্রামের কাছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবস্থান।

সিরিয়ার নতুন সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে, তারা “জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক আইনকে প্রকাশ্যভাবে লঙ্ঘন করে” আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কূটনীতিক বারবারা লিফ বলেন, সিরিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ এমন উত্তেজনা ও শত্রুতার সৃষ্টি করতে পারে, যা আগে ছিল না।

গত কয়েক সপ্তাহে সিরিয়ার নিরাপত্তা অঞ্চলে মোতায়েন থাকা আইডিএফ সেনারা দু’বার গুলির শিকার হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, নতুন সিরীয় সরকার যখন গোটা দেশকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, তখন সেখানে বিদ্রোহ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

বারবারা লিফ আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কেবল সামরিক শক্তির ওপর নির্ভর করলেই চলবে না—“অনেক উপায় আছে, অনেক যোগাযোগের পথ আছে”—এই বলে তিনি ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে গোপন কূটনৈতিক যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেন।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে। মাউন্ট হারমনসহ ওই উঁচু এলাকা ইসরায়েলের দৃষ্টিতে কৌশলগত ও প্রতিরক্ষামূলক অঞ্চল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে দামেস্ক দখল করে। তখন ইসরায়েল আগাম পদক্ষেপ হিসেবে সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর একের পর এক বিমান হামলা চালায়। এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল, সিরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার যেন শত্রুপক্ষের হাতে না পড়ে।

আইডিএফ স্থলবাহিনী পাঠিয়ে জাতিসংঘের পর্র‌্যবেক্ষণে থাকা ২৩৫ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। তারা জানিয়েছে, ওই এলাকায় তারা “অনির্দিষ্টকাল” অবস্থান করবে। একইসঙ্গে ইসরায়েল সিরিয়ার অভ্যন্তরে আরও গভীরে অভিযান পরিচালনা করছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, দক্ষিণ সিরিয়ার প্রায় দামেস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত আরও ৫০ কিলোমিটার এলাকা অসামরিক অঞ্চল হিসেবে থাকা উচিত।

এই মাসে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার আরও দূরের কিছু বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। ইসরায়েল দাবি করেছে, এসব ঘাঁটি তুরস্কের বাহিনী ব্যবহার করতে পারে—এই আশঙ্কা থেকেই হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে। যদিও গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক বছরব্যাপী যুদ্ধ শেষে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল উভয় পক্ষের মধ্যে।

দক্ষিণ লেবাননের ভেতরে ইসরায়েল অন্তত পাঁচটি “কৌশলগত” অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা সীমান্তের ওপারের উঁচু এলাকাগুলোতে চৌকি নির্মাণ করেছে। সেগুলোর সামনে ইসরায়েলি বসতিও রয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত সফরে ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিনিধি লেবাননের ভেতরে এক পাহাড়চূড়ায় একটি চৌকি দেখতে পান। সেখানে রিজার্ভ প্যারাট্রুপারদের একটি কোম্পানি অবস্থান করছিল। এটি ইসরায়েলের মেতুলা গ্রামের কাছে।

একজন স্থানীয় ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, এই চৌকিগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের কারণে যারা এলাকা ছেড়ে গিয়েছেন, তারা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। তিনি আরও বলেন, “আইডিএফকে লেবাননে থাকতে হবে এবং আক্রমণাত্মক মনোভাব বজায় রাখতে হবে।” 

অঞ্চলটির কাছেই অবস্থিত লেবাননের শিয়া অধ্যুষিত গ্রাম—কাফার কিলা ও আল-খিয়াম—পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, হিজবুল্লাহ এসব গ্রামে সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলেছিল।

গত মাসে ওই এলাকা সফরকালে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, “এই দৃশ্যই হলো বিজয়ের চিত্র। আইডিএফ এখানে আছে। এজন্য নিচের গ্রামগুলো নিরাপদ ও সচল। আর লেবাননের ওপারের গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।”

দৃশ্যটি ইসরায়েলের আগের ‘পুড়িয়ে ফেলা কৌশল’-এর কথা মনে করিয়ে দেয়। আইডিএফ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এই কৌশল ব্যবহার করত।

ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়িয়ে সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য।

জানুয়ারিতে জেনিন শরণার্থী শিবিরে বন্দুকধারীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর পর, ইসরায়েল সেটি আশপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে দেয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এই অভিযানের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছেন।

জেনিন শিবিরটি প্রায় পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধান রাস্তা, স্কুল, মসজিদসহ অসংখ্য ভবন ধ্বংস হয়েছে।

আইডিএফ এখন জেনিন, তুলকারেম ও নুর শামস শিবিরে চৌকি স্থাপন করেছে। এসব এলাকা নামমাত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর কয়েকটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য এলাকা পরিষ্কার করা এবং ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য করিডোর তৈরি করা।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব এলাকায় সেনা উপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে থাকবে। ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা বছরের শেষ নাগাদও ফিরতে পারবেন না।

এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের কৌশলে এক বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। গত দুই দশকে তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অভিযান চালালেও, সেসব জায়গায় দীর্ঘ সময় অবস্থান করত না।

আইডিএফ দাবি করেছে, সিরিয়া, লেবানন এবং পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরগুলোতে তারা যে নতুন চৌকি স্থাপন করেছে, সেগুলো “অস্থায়ী” এবং প্রয়োজনে কয়েক দিনের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া যাবে।

তবে গাজার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, গাজা সীমান্তের ভেতরে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বাফার জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের মতো হামলা আবার যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করা যাবে।

আঠারো মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ গাজায় অবস্থানরত এক ইসরায়েলি রিজার্ভ সেনা বলেন, “পুরো এলাকা এখন মঙ্গলগ্রহের মতো দেখায়। যদি কোনো ভবন এখনো দাঁড়িয়ে থাকে, তার মানে হলো—আমরাই সেটি ব্যবহার করছি।”

তবে যুদ্ধ থেমে নেই। আট সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর গত মাসে আবার অভিযান শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত মাসে হুমকি দিয়ে বলেন, হামাস আত্মসমর্পণ না করলে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল সীমান্তের “নিরাপত্তা অঞ্চল” আরও বাড়াবে। পাশাপাশি গাজার আরও বড় অংশকে “স্থায়ীভাবে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে” আনবে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কখনোই গাজার ওপর “সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ” বজায় রাখার ইচ্ছা লুকাননি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবকেও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করেন। ওই প্রস্তাবে গাজার জনগণকে উৎখাত করে পুরো অঞ্চলকে “মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা” হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল।

ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির জ্যেষ্ঠ গবেষক এহুদ ইয়ারি বলেন, ট্রাম্পের সমর্থনের কারণে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অনেকটাই সহনীয় রয়ে গেছে। ফলে ইসরায়েল তাদের আগ্রাসী নতুন কৌশল চালিয়ে যেতে পারছে।

তিনি বলেন, “যুদ্ধ-পরবর্তী ‘ডে আফটার’-এর দৃশ্য সব ফ্রন্টেই এমনই হবে।”

ইসরায়েলের এই নতুন নিরাপত্তা কৌশলের ঘরোয়া সমালোচনা খুব কমই দেখা গেছে। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে সাবেক আইডিএফ মেজর জেনারেল ইসরায়েল জিভ সাম্প্রতিক এক লেখায় বলেন, সরকার “রাজনৈতিকভাবে ভূখণ্ড দখলের ধারণায় মুগ্ধ হয়ে পড়েছে।”

তিনি সিরিয়ায় ইসরায়েলের “অপ্রয়োজনীয়” উপস্থিতির সমালোচনা করে বলেন, “যে ভূখণ্ড আমাদের নয়, সেখানে অবস্থান ভবিষ্যতে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।” তিনি এও মনে করিয়ে দেন, ১৯৮২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত লেবাননের “নিরাপত্তা অঞ্চল” দখল করে রাখার ফলে হিজবুল্লাহর উত্থান ঘটে এবং এক হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়।

তবে বর্তমান ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই সমালোচনার সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন, এসব অঞ্চলে আইডিএফের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধই প্রমাণ করে—সেখানে অবস্থান করা প্রয়োজন।

মাউন্ট হেরমনের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “সিরিয়ার সবাই যে আমাদের ভালোবাসে, এমন না। আর এটাই সেখানে আমাদের থাকার যৌক্তিকতা আরও জোরালো করে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads