নারী ফুটবলে স্বস্তি ফেরার মতো খবর দিলেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান অবসান হয়েছে সাবিন-মারিয়াদের বিদ্রোহের।
১৬ দিন পরও সমস্যা পুরোপুরি মেটেনি। এখনও কোচ এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে এক সঙ্গে বসেনি বাফুফে।
বাফুফে ভবনে রোববার বিদ্রোহী ১৮ খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কিরণ। তার দাবি, সেখানেই চুক্তিতে থাকার ও পিটার জেমস বাটলারের কোচিংয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছেন সাবিনা-মারিয়ারা।
“সভাপতি ও আমার পক্ষ থেকে মেয়েদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম। ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করেছি আমরা। আজকেও তাদের সাথে বসেছিলাম আমি। আজকে বসার পরে আমি যেটা বলতে পারি, মেয়েরা ফিরবে, অনুশীলনে ফিরবে; কিন্তু এখন ফিরবে না। কেননা, আমাদের ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি, যেহেতু আমরা আরব আমিরাতে যাব দুইটা ম্যাচ খেলার জন্য।”
“দল চলে যাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ফলে ক্যাম্প বন্ধ হবে। ক্যাম্প বন্ধ মানে পুরোটাই বন্ধ। সিনিয়র মেয়েরাও একটা ব্রেক চাচ্ছে, এই সুযোগে তারা একটা ব্রেক পাবে, এরপর ফিরে তারা অনুশীলন শুরু করবে। ওরা যখন অনুশীলন শুরু করবে, তার আগে আমরা যেটা করব, আমরা ও বাফুফের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, সভাপতি মেয়েদের, কোচ-সবার সাথে বসে তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, সেটা মিটিয়ে দেওয়া হবে।”
গত ৩০ জানুয়ারি তিন পৃষ্ঠার বিবৃতিতে কোচের বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ আনেন সাবিনা-মনিকারা। সেখানে গাল দেওয়া, বডি শেমিং, মানসিক নির্যাতনের মতো গুরুতর ব্যাপারও ছিল। পিটার থাকলে পদত্যাগের হুমকি দেন তারা।
কিরণ মনে করেন পুরো ব্যাপারটি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির ফল।
“তারা বুঝতে পেরেছে যে, ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তো সেখান থেকে তারা বেরিয়ে আসছে। তারা একসাথে অনুশীলন করবে, ক্যাম্পে থাকবে, যদি তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং অসন্তোষ থাকে, তাহলে তো কাজগুলো ঠিক ভালোভাবে হবে না। এজন্য দুই পক্ষের সাথে একসঙ্গে বসে সেগুলো সমাধান করা হবে। মেয়েরা আমাকে বলেছে ফিরে এসে তারা অনুশীলন করবে, চুক্তি সই করবে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।”
“আমি ১৮ জনের সাথে বসেছি। এটা ১৮ জনেরই মুখের কথা। একজনের কথা না। তাদের এটাও বলেছি, আমি প্রেস কনফারেন্স করব, তখন ফেরার বিষয়টি অধিনায়ক এবং বাকি সবাই বলেছে। এখানে কোনো শর্ত নাই, মেয়েরা (কোচ থাকলে ফিরব না) এমন কোনো শর্ত দেয়নি।”
এদিকে খেলোয়াড়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানিতে এসে বাটলার উল্টো তাদের কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তিনি তদন্ত কমিটিকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট কয়েকজন’ থাকলে কোচিং করাবেন না তিনি। আপাতত এই বিষয়ে গভীরে যেতে চাইলেন না কিরণ।
“আমি কোচের সাথে কোনো কথা বলিনি, এ কারণে এটা নিয়ে বলতে পারব না। ছুটি শেষ করে ওরা যখন ক্যাম্পে ফিরে আসবে, তখন আমরা বসব। দুই পক্ষের সঙ্গে আবার বসব, যার যা ভুল-ভ্রান্তি আছে, কথা বলে মিউচুয়াল করে ওরা চুক্তি করবে, অনুশীলনে যাবে।”
