যুদ্ধের মাঠে যখন ভারত-পাকিস্তান, অস্ত্রের বাজারে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতীয় সেনাবাহিনী।

দক্ষিণ কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার প্রথম প্রহরে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় যৌথবাহিনী। হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও জানা না গেলেও পাল্টা প্রতিক্রিয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

সাম্প্রতিক সময়ে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পরাশক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত ও পাকিস্তান শেষবার সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছিল।

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে উল্লেখযোগ্য নড়াচড়া লক্ষ্য করেন। এতে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে গভীর রাতে জাগানো হয়। তিনি নিজেই স্মৃতিকথায় লেখেন, তিনি ফোনে দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার প্রস্তুতি যেন না নেয়।

সেই সময় সংঘাতের সূচনা ক্ষণস্থায়ী ছিল। প্রথম দিকের সীমিত সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হয়ে আসে। তবে ছয় বছর পর আবারও দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র সামরিক উত্তেজনায় জড়িয়েছে। এবার এই উত্তেজনার পেছনে রয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর একটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা।

পরিস্থিতি এবার আরও জটিল। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সামরিক জোটগুলোতে পরিবর্তন এসেছে।
অস্ত্র কেনাবেচার বর্তমান প্রবণতা এসব নতুন সম্পর্ককে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এই অঞ্চলটি এমন এক জায়গা যেখানে পারমাণবিক শক্তিধর তিনটি দেশ ভারত, পাকিস্তান ও চীন ঘনিষ্ঠভাবে অবস্থিত এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক বেশ উত্তেজনাপূর্ণ।

ভারত অতীতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকলেও এখন সেই ইতিহাস বদলে ফেলেছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পূর্বের অনীহা দূর করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম কিনছে। অন্যদিকে ভারত সোভিয়েত যুগের মিত্র রাশিয়ার কাছ থেকে কম খরচে অস্ত্র কেনা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে।

পাকিস্তানের ক্ষেত্রে আফগান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমেছে। এখন পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনে না, বরং চীনের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাদের সামরিক কেনাকাটার বেশিরভাগই এখন চীনের সঙ্গে।

এই নতুন সম্পর্কগুলো দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল সংঘাতে বড় শক্তিগুলোর রাজনীতি যুক্ত করে ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতকে চীনের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশলগত অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলছে। এর বিপরীতে, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। চীন এখন পাকিস্তানের বড় পৃষ্ঠপোষক ও সমর্থক।

একই সময়ে ভারত ও চীনের সম্পর্কও খারাপ হয়ে পড়েছে। সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে।

অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

এই জটিল পরিস্থিতি বলছে, বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের যে স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক কাঠামো ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। জোটগুলোর গঠন এখন অনেক বেশি জটিল ও অগোছালো।

বুধবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের যেসব এলাকায় আগাত হানে ভারত। ছবি: আল-জাজিরা।

দক্ষিণ এশিয়ায় ঘন ঘন সামরিক উত্তেজনার ইতিহাস, এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য ভুল সিদ্ধান্ত এই অস্থিতিশীলতাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। এতে যেকোনও উত্তেজনা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে।
সাবেক কূটনীতিক ও বর্তমানে কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের জ্যেষ্ঠ ফেলোঅ্যাশলি টেলিস বলেন, “ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে এখন যুক্তরাষ্ট্র একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। অপরদিকে পাকিস্তানের জন্য চীন একইরকম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”

এখন ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় আরও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।

কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পরের দিনগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে যে জোরালো সমর্থন প্রকাশ করা হয়, তা অনেক দিল্লিভিত্তিক কর্মকর্তার কাছে ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার একটি ‘সবুজ সংকেত’ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছিল।

পরিস্থিতি পরিবর্তনের একটি বড় উদাহরণ হলো- সন্ত্রাসী হামলার পর মোদী যখন বিশ্বের এক ডজনের বেশি নেতার সঙ্গে কথা বলেন, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে ছিলেন অনুপস্থিত। হামলার এক সপ্তাহ পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। আর মোদী ও পুতিনের ফোনালাপ ঘটে এক সপ্তাহ পরে, জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে চীন প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চীন পাকিস্তানকে “ইস্পাত কঠিন বন্ধু” ও “সব অবস্থার কৌশলগত সহযোগী” বলে উল্লেখ করেছে।

এই প্রবণতাগুলো ভবিষ্যতে সামরিক সংঘাতে আরও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং বর্তমানে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন আমেরিকার একজন সিনিয়র ফেলো লিন্ডসি ফোর্ড বলেন, “আপনি যদি ভাবেন, ভবিষ্যতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত কেমন হতে পারে, তাহলে তা সম্ভবত এমন একটি সংঘাতে পরিণত হবে যেখানে ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অস্ত্র ব্যবহার করবে। আর পাকিস্তান চীনের অস্ত্র দিয়ে লড়বে। গত দশকে দুই দেশের নিরাপত্তা অংশীদারদের সম্পর্ক অনেকটাই বদলে গেছে।”

গত কয়েক বছর আগ পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার জোটনীতি গঠিত হতো মূলত স্নায়ুযুদ্ধের কৌশলগত বিবেচনায়। কিন্তু এখন সেই চেনা প্লট বদলে গেছে অনেকটা।

ভারত নিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েও সোভিয়েত ইউনিয়নের ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছিল। সেসময় ভারতের সামরিক সরঞ্জামের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ছিল মস্কো থেকে আমদানি করা।

অপরদিকে পাকিস্তান সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রে পরিণত হয় এবং আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীকে পরাজিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিল। ১৯৮০-র দশকে পাকিস্তান এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তার সামরিক শক্তি বাড়ায়। তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহু কাঙ্ক্ষিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করে, যা ভারতের আকাশ আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।

স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৯০-এর দশকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করায় ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে। প্রায় এক দশক ধরে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে এফ-১৬ বিমানগুলোর মূল্য পরিশোধ করেছিল, সেগুলো তাদের সরবরাহ করা হয়নি।

কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের ভাগ্য আবার পাল্টে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান ফের একটি প্রধান ফ্রন্টলাইন সহযোগীতে পরিণত হয়।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালেবান নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও একই সঙ্গে তারা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিকে সহায়তা করেছিল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা হিসেবে বহু বিলিয়ন ডলার দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের শীর্ষ অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে ওঠে, আর চীন দ্বিতীয় স্থানে ছিল।

কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় দেশটি পুরোপুরি চীনের দিকেই ঝুঁকে পড়েছে। চীন বহু আগ থেকেই পাকিস্তানকে উষ্ণভাবে গ্রহণ করে আসছে।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের অস্ত্র আমদানির মাত্র ৩৮ শতাংশ ছিল চীন থেকে। গত চার বছরে সেই হার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।

অন্যদিকে ভারত তার রাশিয়ান অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ভারতের প্রধান অস্ত্র আমদানির ৮০ শতাংশই ছিল রাশিয়া থেকে। কিন্তু গত চার বছরে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৮ শতাংশে। বর্তমানে ভারতের অর্ধেকের বেশি অস্ত্র আসে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ফ্রান্স ও ইসরায়েল থেকে।

২০১৯ সালে পাকিস্তান রাশিয়ার নির্মিত একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এফ-১৬ ব্যবহার করে।

পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের যে শীতলতা তৈরি হয়েছে, তার একটি ব্যতিক্রম হলো এফ-১৬ কর্মসূচি। গত দুই দশকে পাকিস্তান তার এফ-১৬ বহর সম্প্রসারণ করেছে। এমনকি বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে। এই অর্থ যুদ্ধবিমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে।
২০১৯ সালে পাকিস্তান রাশিয়ার নির্মিত একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এফ-১৬ ব্যবহার করে। ভারতের দাবি ছিল, এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা অস্ত্র বিক্রয় চুক্তির লঙ্ঘন। তাদের মতে, চুক্তিতে স্পষ্ট বলা ছিল, এফ-১৬ কেবল সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে ব্যবহৃত হবে।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা ভারতের মন রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তানকে তারা সতর্ক করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক নথিপত্রে বহু আগেই পরিষ্কারভাবে লেখা ছিল যে, পাকিস্তান ভারতবিরোধী সম্ভাব্য সংঘাতের জন্যই তার বিমানবাহিনী গড়ে তুলছে।

২০১৯ সালের সেই সংঘাতে ভারতের একটি নিজস্ব হেলিকপ্টারও গুলি করে নামানো হয়েছিল। এতে ছয়জন সেনাসদস্য নিহত হন। এই ঘটনা ভারতের সামরিক দুর্বলতা প্রকাশ করে দেয়। এরপর ভারত তার প্রতিরক্ষা খাতে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ শুরু করে। তারা সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নের দিকে জোর দেয়। বর্তমানে যখন ভারত পাকিস্তানের মোকাবিলা করছে, তখন আরও বড় একটি হুমকি- চীন পেছন থেকে সবকিছু দেখছে এবং পাকিস্তানকে সহায়তা করছে।

২০১৯ সালের ঘটনাগুলো যারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, তাদের অনেকেই বলেন, “সেখানে যেসব মানবিক ভুল হয়েছিল, সেগুলো থেকে বোঝা যায় পরিস্থিতি কত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অতিরিক্ত জাতীয়তাবাদ ও পারস্পরিক সন্দেহপূর্ণ পরিবেশ অত্যন্ত বিপজ্জনক। দুই দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনী খুব কাছাকাছি আকাশসীমায় কাজ করছে। সেখানে একটি ছোট ভুল, কিংবা কোনও কমান্ড অতিক্রম করলেই তা ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লিন্ডসি ফোর্ড বলেন, “২০১৯ সালে যেমন সীমান্ত অতিক্রম করে বিমান হামলা ও আকাশে সরাসরি যুদ্ধ হয়েছিল, তেমন সঙ্কট আবার ঘটলে তা ভয়াবহ রকমের উত্তেজনা তৈরি করতে পারে। আর এই পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক যখন এতে জড়িত দুই দেশই পারমাণবিক শক্তিধর।”

এ সম্পর্কিত আরও খবর:

সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে, ভারত না কি পাকিস্তান?

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads