সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনা জনমনে আলোড়ন তুলেছে। এর মধ্যে নাটোরের তরুণ দাস, বরগুনার মন্টু দাস এবং দিনাজপুরের ভবেশ রায়ের মৃত্যুর ঘটনা দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী ভারতেও আলোচনায় এসেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে সবক’টি ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসাবে বলা হলেও অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলেই প্রমাণ করার চেষ্টা করে গেছে। অবাক করার বিষয় হলো, ‘হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া এলেই নড়েচড়ে বসছে বাংলাদেশের প্রশাসন, বদলে যাচ্ছে তদন্তের গতি-প্রকৃতি, বেরিয়ে আসছে ‘ভিন্ন কারণ’।
গেল বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা হামলা, নিযাতন, ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয়েছে বলে বার বার অভিযোগ করে আসছে হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। একই দাবি ভারতেরও। বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষার কথা অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
গেল আট মাসে বহু ঘটনা ঘটলেও সবচেয়ে বেশি আ্রলোচনা এসেছে নাটোরের তরুণ দাস, বরগুনার মন্টু দাস ও দিনাজপুরের ভবেশ রায়ের মৃত্যু নিয়ে। এসব মৃত্যু হত্যাকাণ্ড বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হলেও পুলিশ বলছে, একজন শ্বাস বন্ধ মারা গেছেন, একজন হঠাৎ গর্তে পরে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন এবং আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে পান-সিগারেট খেয়ে।

ঘটনা-১: নাটোরে তরুণ দাস হত্যা
গত ২১ ডিসেম্বর সকালে নাটোর শহরের মহাশ্মশান মন্দিরের বারান্দায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তরুণ চন্দ্র দাসের লাশ। তিনি শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা ছিলেন। তরুণ দাস ওই মন্দিরেই রাত্রিযাপন করতেন। এ ঘটনায় তার ছেলে তপু কুমার দাস সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছিলেন।
তরুণ দাসের মৃত্যু নিয়ে দেশে তো বটেই ভারতও প্রতিক্রিয়া দেখায়। এরপর শুরু হয় ঘটনা উল্টো দিকে ঘোরানোর চেষ্টা।
তখনকার নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন সাংবাদিকদের জানান, হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না, শুধু তরুণ দাসকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়ায় এবং শীতের কারণে মৃত্যু হয় তরুণ দাসের।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গলায় ও মুখমণ্ডল কাপড় দিয়ে প্যাঁচানোর ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ ও শ্বাসরোধে তরুণ দাসের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
অথচ নিহত তরুণ দাসের ছেলে তপু দাস জানিয়েছিলেন, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
মারা যাওয়ার পর তরুণ দাসকে মানসিক রোগী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টাও দেখা গেছে। সরকারি কর্মকর্তা থেকে শ্মাশান কমিটির এক নেতাও তরুণকে ‘পাগল’ বলেছিলেন। তবে এর প্রতিবাদ করেছেন তরুণ দাসের ছেলে তপু কুমার দাস।
‘মানসিক রোগী’ বলার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তার। এ ছাড়া তরুণ দাসের মৃত্যু সনদ দিতেও টালবাহানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তপু।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী বলেছিলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে মনে হচ্ছে চুরি করতে এসে দুষ্কৃতকারীরা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যিনি মারা গেছেন তিনি কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ছিলেন, কিন্তু মন্দিরেই রাতে অবস্থান করতেন।”
নাটোর পৌরসভার প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ দাসকে নাটোর শহরের সব মানুষই চিনত। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আবোলতাবোল বক্তৃতা দিতে দেখেছি তাকে। মাঝে মাঝেই কুকুরের সঙ্গে খেলা করা, কুকুরের সঙ্গে খাবার খাওয়ার ঘটনাও আমরা সবাই দেখেছি।”
তরুণ দাসের ছেলে তপু দাস দ্য সান ২৪কে বলেন, “নাটোর শহরের কেউ বলতে পারবে না আমার বাবা পাগল। বাবা প্রায়ই বাড়িতে আসতেন, আমার মেয়ের সাথে কথা বলতেন। সবাইকে চিনতেন এবং নাম ধরে সবাইকেই ডাকতেন। তাহলে আমার বাবাকে কেন পাগল বলা হচ্ছে? নিশ্চিয় কোনো ষড়যন্ত্র আছে।”
পরবর্তীতে নাটোর শ্মশানের পাশের গ্রাম থেকে সবুজ হোসেন নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে-ই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে পুলিশ। যদিও সবুজের পরিবারের দাবি, নিজেদের উপর চাপ কমাতে সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী সবুজের বড় ভাই মামুন বলেন, “হিন্দুদের মন্দিরে চুরি ও হত্যা এটা একটা বড় ইস্যু। এ কারণে পুলিশের উপর প্রেসার ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রকৃত আসামি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারণে সবুজকে সন্দেহজনকভাবে ধরা হয়েছে। অথচ উপযুক্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি পুলিশ।”
এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়, গণমাধ্যম থেকেও হারিয়ে যায় তরুণ দাস হত্যা রহস্যের খবর।

ঘটনা-২: বরগুনায় মন্টু দাস হত্যা
বরগুনায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার ১০ দিন বাবা মন্টু দাসের মরদেহ উদ্ধার হয় গত ১১ মার্চ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনাও তৈরি হয়েছিল। ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে সেসময় ফোনে কথাও বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
কিশোরীকে ধর্ষণ এবং মন্টু দাসের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বহু সংবাদ প্রকাশ পায়। প্রতিক্রিয়া জানায় নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপির নেতারা।
বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি করইতলা এলাকার নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরের দিন বরগুনা সদর থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহতের স্ত্রী বলেন, “মেয়েকে ধর্ষণের পর আমার স্বামী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে যেদিন মামলার তারিখ তার আগের রাতে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সন্দেহ হয় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের স্বজনরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। স্বামীকে হারিয়েছি এখন সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। কীভাবে আমাদের সংসার চলবে তা জানি না।”
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ জোরেশোরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম। অর্থাৎ মন্টু দাস যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু যখন ভারত এঘটনার প্রতিক্রিয়া জানালো এর পরই ঘটনা যেন উল্টে গেলো।
পরবর্তীতে পুলিশ দাবি করে, ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা নিয়মিত মেলামেশা করতো। ধর্ষণ বলতে যেটি বোঝায় তেমনটি হয়নি বলে পুলিশ দাবি করে।
পুলিশের এই ভাষ্য নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে একটি ১৭ মার্চ অনুন্ধানের নামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। সেখানে বলা হয়, ধর্ষকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই দাবির পক্ষে কিছু মানুষের বক্তব্যও প্রচার করা হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর অনেকেই সমালোচনা করে বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে ‘প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়নি’- এটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে টেলিভিশনটিতে প্রচারিত প্রতিবেদনে।
এরপর ওই মেয়ের বাবার মৃত্যুর ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। এবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মন্টু দাসের।

ঘটনা-৩: দিনাজপুরের ভবেশ রায় হত্যা
একই ভাবে দিনাজপুরের ভবেশ রায় মৃত্যু নিয়েও তুলে ধরা হয়েছে ভিন্ন তথ্য। বলা হচ্ছে ‘পান-বিড়ি খেয়ে অসুস্থ’ হয়ে ভবেশ রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল দিনাজপুরে ভবেশ চন্দ্র রায় খুন হওয়ার সংবাদটি প্রকাশ করেছিল ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার। তার শিরোনাম ছিল- ‘দিনাজপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাকে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা’।
এই হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের নজির হিসাবে দেখিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত সরকার। সেই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, “আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।”
প্রেস সচিবের বক্তব্যের পর রোববারই ডেইলি স্টার তাদের অনলাইন সংস্করণ থেকে প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয়।
ভবেশ রায় ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিনাজপুর বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের বাড়ি থেকে পূর্বপরিচিত লোকেদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন।
ভবেশ রায় যখন বাড়ী থেকে বেরিয়ে যান, তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। ওইদিন মাঠে কাজ করেছেন। তার কোনো শারিরীক সমস্যা ছিল না বলে ভবেশের পরিবার দাবি করেছে।
তাকে বাড়ি থেকে নেওয়া রতনও বিবিসি বাংলার কাছে স্বীকার করেছেন যে, সুস্থ অবস্থায় ভবেশ রায় তাদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন।
অথচ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন দাবি করে বলেছেন, “ভবেশ রায়ের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতাজনিত কারণে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের তদন্ত ও স্থানীয়দের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার কোনো ঘটনা ঘটেনি।”
ভবেশ চন্দ্র রায়ের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস থেকে হত্যা মামলা করেছে তার পরিবার। ভবেশের পরিবারের দাবি, মরদেহের ঘাড়ের নিচে একটি ফোলা জায়গা তাদের দৃষ্টিতে এসেছে, যেটিকে আঘাতের চিহ্ন বলেই তাদের ধারণা।
ভবেশ রায়ের ছেলে স্বপন রায় বিবিসিকে বলেন, “বাড়ি থেকে এসে যেহেতু ওরা ডেকে নিয়ে গেছে, পরিকল্পনামাফিক নিয়ে গেছে। মৃত্যুটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। আসলে কী ঘটেছে? আমার বাবার সাথে কেন ঘটলো। সুস্থ মানুষটা দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে হঠাৎ করে মৃত্যু হবে, এটাতো মেনে নেবার মতো নয়।”
স্বপন রায় বলেন, “যেহেতু আমাদের বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের বাজারে নিয়ে গেছে, নিশ্চয় কোনো ঘটনা আছে। ঘাড়ের কাছে যেহেতু ফোলা দাগ ছিল নিশ্চই হাত দিয়ে বা লাঠি দিয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে কোনও কিছু, যার জন্য ওটা ফুলে ছিল।”

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্বেগ
বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এক বিবৃতিতে দিনাজপুরের বিরলে ভবেশ চন্দ্র রায়ের হত্যাসহ সব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত মার্চ মাসে সারা দেশে প্রায় অর্ধশত সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ, মন্দিরে হামলা, ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার, আদিবাসীদের ওপর হামলা, বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, নিম চন্দ্র ভৌমিক ও মি. নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অস্থিরতার মধ্যে এই ঘটনাসমূহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মাঝে আরো উদ্বেগ ও শঙ্কা সৃষ্টি করবে। দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ডয়চে ভেলেকে বলেন, “ভবেশ চন্দ্র রায়ের ছেলের অভিযোগের পর এখন তো কোনোভাবেই এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাবে না। আমরাও মনে করি, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বরং এটা একটা হত্যাকাণ্ড। আমরা সরকারের কাছে দাবি করবো, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক। পাশাপাশি ওই পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।”
এ সম্পর্কিত আরও খবর: