বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কেন সরাসরি কথা বললেন না ট্রাম্প?

১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, বাংলাদেশের বিষয়টি তিনি মোদীর উপরেই ছাড়ছেন।

ট্রাম্পের এই বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র বাদানুবাদ। একপক্ষ বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিরাজমান সংকট নিয়ে মোদীকে দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প; আবার কেউ বলছেন, ট্রাম্প বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন।     

দু’দিনের সফরে গিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি নিয়ে বৈঠক করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এসেছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা উঠলে দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের কাছে মোদী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

জবাবে ট্রাম্প বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত বলে মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেকে দাবি করছিলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গোপনে কলকাঠি নেড়েছে আমেরিকা।

মোদীর সঙ্গে আলোচনার শুরুতে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ট্রাম্পকে। অবশ্য তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমেরিকার কোনও হাত নেই।

ট্রাম্প বাংলাদেশ প্রসঙ্গের জবাবে বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। বহু বছর ধরে এই চেষ্টা চলছে। আমি এই সংক্রান্ত খবরাখবর পড়েছি। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারটা আমি মোদীর উপরেই ছাড়তে চাই।”

মোদী অবশ্য তার জবাবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনো শব্দ ব্যয় করেননি। বরং ইউক্রেন প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।

পরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে মোদী এবং ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি, অবস্থান ট্রাম্পকে জানিয়েছেন মোদী। নিজের উদ্বেগও ব্যক্ত করেছেন।

“আমরা আশা করছি, বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আমরা ওদের সঙ্গে গঠনমূলক এবং স্থিতিশীল আলোচনা করতে পারব। কিন্তু আপাতত ওখানকার পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে কথা বলেছেন।”

এ বিষয়ে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “পৃথিবীর কোনও দেশের নেতা খোলাখুলি বলবেন না যে তার দেশ অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলাচ্ছে, কলকাঠি নাড়ছে। দেশটি যখন আমেরিকা, তখন স্বীকার করার তো প্রশ্নই আসে না। এসব কূটনৈতিক জবাব।”  

গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে সরকারের পতনের পর ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পেয়ে মুহাম্মদ ইউনূস হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নয়াদিল্লিকে। তবে এখনও ভারতের কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি দেশটি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর:

বাংলাদেশের সমাধান মোদীর কাছে, বললেন ট্রাম্প

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads