নতুন প্রজন্ম অর্থাৎ জেন-জি-এর ব্যস্ততার অন্ত নেই। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু না কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চলেছে তারা। বিভিন্ন বিষয়ে শেখার আগ্রহও প্রবল। যার পিছনে সময় ব্যয় করতেও কার্পণ্য করে না তারা। কিন্তু এই অতিরিক্ত জানার ইচ্ছাই বাড়ায় মানসিক চাপ।
এই পরিশ্রম তাদের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, সর্বত্র ছাপ ফেলতে শুরু করে। প্রভাব পড়ে কর্মজীবনেও। আর এই পরিস্থিতি সমানভাবে সামলাতেই প্রয়োজন ‘পেন্ডুলাম লাইফস্টাইল’-এর। অন্তত এমন পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পেন্ডুলাম লাইফস্টাইল হল এমন একপ্রকার জীবনযাপন যেখানে একদিকে থাকবে কাজ, ব্যস্ততা, পরিশ্রম। অন্যদিকে থাকবে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময়। থাকবে উদ্বেগমুক্ত জীবন।
অর্থাৎ প্রতিদিনের জীবনে কাজ যেমন থাকবে তেমনই থাকবে পর্যাপ্ত বিশ্রামও। অনেকটা পেন্ডুলামের মতো। পেন্ডুলাম যেমন ধারাবাহিকভাবে ভারসাম্যের সঙ্গে সামনে এবং পিছনে দুলতে থাকে, এটিও তেমনই।
জীবনে কাজের মতো বিশ্রামেরও সমান গুরুত্ব রয়েছে। তাই কাজের বাইরে ব্যক্তিগত ইচ্ছে, ভালোবাসা, ভালোলাগার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
যেমন নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া, ব্যায়াম করা, নানারকম শখপূরণ করা, প্রিয়জনের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত কাটানো ইত্যাদি। এর ফলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।
অনেক সময়ই অতিরিক্ত কাজের প্রতি অতিরিক্ত ফোকাস শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতার কারণ হয়ে ওঠে। পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগও তৈরি করে। যা স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
পেন্ডুলাম লাইফস্টাইল মেনে চললে এই চাপ থেকে মুক্তি সম্ভব। সম্ভব কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে সামঞ্জস্য রেখে চলাও। তবে পরিস্থিতি যদি অত্যধিক কঠিন হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়, যিনি আপনার সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখিয়ে দেবেন।