রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ক্রিকেটের প্রসঙ্গ এলেই ঘুরেফিরে আসে সাকিব আল হাসানের নাম। তা যে বিষয়ক আলোচনা হোক, সাকিবের নাম আসবে তা ধরেই নেওয়া যায়। তা আসবে না কেন, তিনি যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার। রেকর্ড বুকে বাংলাদেশের নাম যতবার আসুক না আসুক, সাকিবের নাম তার চেয়ে বেশিবার উচ্চারিত।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিসিবি সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনেও তাই এলো সাকিবের দলে ফেরার প্রসঙ্গ।
অবশ্য সরাসরি কোনো বার্তা না দিয়ে নির্বাচকদের কোর্টে বল ঠেলে দিলেন নতুন সভাপতি।
“আমরা সবাই টেনশনে আছি। (পাকিস্তানের বিপক্ষে) আজকের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের দলে বেশ কজন অলরাউন্ডার আছে। সাকিবের ব্যাপারটা হলো, সে তো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। আশা করব, সাকিব ফিট থাকবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে।”
“আমাদের ক্রিকেট বোর্ডে যে নির্বাচক কমিটি আছে, তারা দেখবে। আমাদের দল নির্বাচনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সিস্টেম আছে। নির্বাচকরা সেটা অনুসরণ করবে। সেটা আমরা সম্মান করব।”
মূলত গত বছরের অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অনিশ্চয়তা শুরু হয় সাকিবকে নিয়ে। এরপর আর দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হলেও নিরাপত্তা শঙ্কার বার্তা পাওয়ায় দুবাই থেকেই ফেরত যান দেশের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার।
তবে সাকিবকে দলে পাওয়ার সম্ভাবনা কখনও উড়িয়ে দেয়নি বিসিবি। চলতি বছরের শুরুতে বিসিবির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সাকিবকে নিয়ে ‘আরেকবার চেষ্টা’ করবেন তিনি। তবে কোনো ইতিবাচক ফল মেলেনি। সাকিবকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে বাংলাদেশ।
সাকিবকে দলে না রাখার ব্যাখ্যায় তখন অবশ্য বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন। গত মার্চে সেই নিষেধাজ্ঞা থেকেও মুক্তি পান সাকিব। চলতি মাসে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে প্রায় ৬ মাস পর স্বীকৃত ক্রিকেটেও ফিরেছেন ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
