নারী ফুটবলে বিদ্রোহে অবসানের খবর এলেও তিন পক্ষে এক টেবিলে না বসায় শঙ্কার জায়গা রয়েই গেছে। সেটা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে প্রধান কোচ জেমস পিটার বাটলারের কথায়। সাবিনাদের প্রতি ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ’ হবেন না জানিয়ে তিনি বলেছেন, তাকে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করতে বাধ্য করা না হয়।
বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলারের সঙ্গে আলোচনা শেষে রোববার বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ দাবি করেন, অবসান হয়েছে চলমান সমস্যার।
যার বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ এনেছিলেন সেই বাটলার বলেছেনে, নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা বশত কিছু করবেন না তিনি।
“আমি একজন কোচ ও বাবা, এবং অনেক সাধারণ বাংলাদেশির মতো আমারও একটি মেয়ে ও ছেলে আছে, আমি তাদের অন্যর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নম্র হতে শেখাই, সেভাবে তাদেরকে লালন-পালন করি।”
“আমি শুধু এটাই চাই যে, আমাকে সম্মান করা হোক, কিন্তু তা হয়নি। আমি নির্বোধ নই এবং বুঝতে পারি যে, কিছু ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য একটি খেলা হচ্ছে। তবে আমি প্রতিহিংসাপরায়ণ বা খারাপ নই। তবে আমি জাতীয় দলের জন্য মূল্যবান ও সৃষ্টিশীল খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করব এবং সিদ্ধান্ত নেব।”
এই কথাগুলো অনেকবারই বলেছেন বাটলার। টানা দুইবারের সাফ চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে তিনি লড়াই করতে চান এশিয়ান ফুটবলে। গত ৩০ জানুয়ারি ১৮ জন বিদ্রোহ করে অনুশীলন বর্জনের পরও হাল ছাড়েননি তিনি। নতুনদের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতি।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাই যাবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ দুটি হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ।
কিরণ জানিয়েছেন, সেদিন ছুটি পাবেন ১৮ ফুটবলার। পরে ক্যাম্পে ফিরে বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করবেন এবং বাটলারের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করবেন তারা।
আপাতত ততদূর পর্যন্ত ভাবতে চান না বাটলার। তবে এই ডামাডোলে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে না পাওয়ার হতাশা আড়াল করলেন না তিনি।
“এই ১৮ জনের মধ্যে কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের ফুটবল সামর্থ্যের প্রশংসা করি আমি। কিন্তু তারা দলের ভেতর-বাইরের কিছু মানুষ, পুরুষ এবং মহিলা দ্বারা জোরজবরদস্তির শিকার হয়েছিল।”
“যেখানে আমাদের হাতে অনূর্ধ্ব-২০ বয়সী এমন কঠোর পরিশ্রমী এবং নম্র খেলোয়াড় আছে, সেখানে আশা করি, আমাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী খেলোয়াড়দের সাথে কাজ করতে বাধ্য করা হবে না, আসুন আগামী কয়েক সপ্তাহের দিকে মনোনিবেশ করি।”