হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করেনি দিল্লি, ইউনূস-মোদী বৈঠক হচ্ছে না?

yunus-modi

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে জানত ভারত। কিন্তু এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি নয়াদিল্লি। এদিকে, থাইল্যান্ডে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের সম্ভবনা দেখছেন না বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

‘দ্য হিন্দু’-র প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের পরামর্শদাতা কমিটির মুখোমুখি হয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীএস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে জানতো ভারত।

জয়শঙ্কর পরামর্শদাতা কমিটির সদস্যদের জানান, শেখ হাসিনার কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ভারতের ছিল না। তাকে কেবল ‘পরামর্শ দেওয়া’ যেতে পারত।

বাংলাদেশ নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থানও কমিটির সদস্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপাল, মণীশ তিওয়ারি, উদ্ধবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা।

আনন্দবাজার পত্রিকা লিখছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নয়াদিল্লি এবং ঢাকার সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ পথে এগোয়নি।

গত বছরের শেষে ঢাকায় যান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তার পরেও অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সব জট কেটেছে এমন নয়।

বঙ্গোপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরই মধ্যে চার দিন পার হলেও এখনো দিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর পায়নি ঢাকা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “না, কোনো উত্তর আসেনি। আমরা তো মাত্র জানালাম।”

চিঠি পাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “এই মুহূর্তে আর কিছু নাই।”

আরও পড়ুন