ইউনূসকে শাস্তি পেতে হবে, সেই দিন দূরে নয়: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা

মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি বলেন, “এই অবৈধ সরকারের প্রতিটি অবৈধ কার্যকলাপের জন্য; মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য; মুখের খাবার কেড়ে নেওয়ার জন্য একদিন এদের শাস্তি পেতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। এই শাস্তি অবশ্যই তাদের হবে, ইনশাআল্লাহ। আমি বলে রাখি সেই দিন বেশি দূরে নয়।”

রোববার রাতে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ভার্চুয়ালি বিভিন্ন সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললেও সেসব ছিল অনানুষ্ঠানিক আলাপ। সেদিক থেকে বলা যায়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথম বারের মতো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তৃতা দিলেন তিনি।  

শেখ হাসিনা প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম ‘অ্যা-টিম’র সাপ্তাহিক আলোচনায়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের নানা দিকনির্দেশনাও দিতে শোনা যায় তাকে।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত দাস গুপ্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তার পাশে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও ইনফ্লুয়েন্সার অমি রহমান পিয়াল।    

ফেব্রুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি নেতাকর্মীদের মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।

“তোমাদের ঝুঁকি নিয়ে কিছু করতে হবে না। তোমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাবে। আমাদের ওই শ্রমিক যে চাকরি হারা, আমাদের ওই কৃষক যারা সার পাচ্ছে না, হাহাকার করছে তাদের কাছে যাবে। আমাদের অনগ্রসর যারা আছে তাদের কাছে যাবে। তাদের খোঁজ নেবে। তাদেরকে নিয়েই পথে নামতে হবে।”

পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় অবরোধ কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনারও পরামর্শ দেন টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী।  

শেখ হাসিনা বলেন, “অবরোধের দিন পূজা আছে। কাজেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ভিন্ন ভাবে ওটা পালন করতে হবে। আরও বেশি প্রচারপত্র বিলি করতে হবে।”

১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচি রয়েছে দলটির। দৃশ্যত শেখ হাসিনার এই নির্দেশনার পর ধরে নেওয়া যায় ১৬ তারিখের অবরোধ কর্মসূচি থাকছে না।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বক্তৃতায় তার আমলের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। চেয়েছেন ইউনূসসহ তার কাছের আত্মীয়দের সম্পদের হিসেব।

এছাড়া উপদেষ্টামণ্ডলী ও সমন্বয়কদের সম্পদের হিসেবও প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।      

দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এ অবস্থায় এদেরকে ছেড়ে দেওয়া যায় না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে। আর যে কর্মসূচি আমরা দিয়েছি তা সফল করতে হবে। কারণ রাষ্ট্র চালাতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।”

‘লুটপাট করতেই ইউনূস ক্ষমতায়’

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে গরীবের কাছ থেকে অর্থ চুষে নেওয়া আর দেশ চালানোর মধ্যে তফাৎ আছে। আজকে যেভাবে  সরকার চালাচ্ছে ইউনূস সাহেব তাতে মনে হচ্ছে রাষ্ট্র চালাতে না, বরং জনগণের সম্পদ লুটপাট করতে ক্ষমতায় এসেছে তারা।”

ছাত্রলীগ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “ছাত্রলীগকে ব্যান করার এখতিয়ার তাদের কে দিয়েছে? ছাত্রলীগকে ব্যান করার সে কে!”

জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনে মুহাম্মদ ইউনূসের ইন্ধন ছিল দাবি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, চক্রান্ত করে, অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। এখানে অন্য কিছু নেই। দীর্ঘদিন ধরে তার ক্ষমতার লিপ্সা, ক্ষমতার লোভের আগুনে বাংলাদেশ জ্বলছে।”

আ. লীগের আমল কেমন ছিল?

আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষ ভালো ছিল উল্লেখ করে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসা শেখ হাসিনা বলেন, “আজ সাধারণ মানুষের আয় রোজগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। সারাদিনের কামাই দিয় একজন দিনমজুর একবেলার খাবার জোটাতে পারে না। আওয়ামী লীগের সময়ে তো এরকম ছিল না।

“আমাদের সময়ে একজন দিনমজুর কাজ করে যা আয় করতো তা দিয়ে সংসার চালিয়েও তার হাতে টাকা থাকতো। এখন আর সেইদিন নেই। আজ কৃষক সার পায় না, সেচ পায় না, বিদ্যুত পায় না। আজকে শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়ছে। ইন্ডাস্ট্রি একের পর এক পুড়ছে। তারা পুড়িয়ে দিচ্ছে অথবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের উপর চরম অত্যাচার হচ্ছে। হাজারখানেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছে, কেউ কেউ কারাগারে বন্দি। এমনকি তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”

গত কয়েক মাসে পুলিশের উপর হামলার নিন্দা জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “দেখা যাচ্ছে পুলিশের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হচ্ছে। পুলিশকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা, হাত কেটে ফেলা, পা কেটে ফেলা, বা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা, কসাইখানায যেমন পশু হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে ঠিক সেভাবে মানুষকে ঝুলিয়ে রাখা। এধরনের অনাচার আর কত চলবে?”

মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে না। চুরি ডাকাতি ছিনতাই, এভাবে আর কতদিন চলবে। যে কথা বলবে তাকেই ওরা মারবে। বাক স্বাধীনতা বলে কিছু নেই। সমস্ত মিডিয়া তাদের কন্ট্রোলে। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা নেই। অনেক সাংবাদিক এখনও কারাগারে। ছয় সাতজনকে তো হত্যাই করেছে।”

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার তার দলের নেতাকর্মীদের নিশানা করেছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

“যেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের চরম শত্রু। অপরাধটা কী আমাদের?”

আওয়ামী লীগ পরগাছা নয়’

বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গৌরবময় অধ্যায়ের কথা তুল ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ তো প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আর আওয়ামী লীগ তো জাতির পিতার সব থেকে শক্তিশালী সংগঠন। এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন।

“সেই সংগঠনের উপর হামলা করে মনে করছে আওয়ামী লীগকে একেবারে শেষ করে দেবে। আওয়ামী লীগ কোনো পরগাছা নয়। আওয়ামী লীগ কোনো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে বের হয়নি। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। এবং মাটি মানুষের কথা বলেই আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এবং সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।”

আবেগ আপ্লুত শেখ হাসিনা

নিজের পরিবারের সদস্যদের হারানোর কথা বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, তিন ভাইসহ পরিবারের ১৮ সদস্যকে হারানো শেখ হাসিনা।

“ওরা নির্মমভাবে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল। একই সঙ্গে হত্যা করে আমার মা, তিন ভাই, ভাতৃবধূ, আত্মীয় পরিবারপরিজনসহ ১৮ জন সদস্যকে । ৭৫’র ৩রা নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে। আমি সবার আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করি।”

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল আমাদের দুই বোনকে হত্যা করা। ১৫ আগস্ট আমরা বিদেশে ছিলাম হত্যা করতে পারেনি। খুনীদের সেই অসমাপ্ত কাজই তারা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং দেশের মানুষ, আমার দেশের পার্টির লোকজন তো আমাকে বারবার বাঁচিয়ে আনে।”

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। বাংলাদেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। সেইখান থেকে আবার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর এই কাজটা বাকি আছে বলেই খোদা আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি যতদূরেই থাকি, আমার মনটা বাংলাদেশে পড়ে আছে।

‘উন্নয়নের বিস্ময় আজ কোথায়?’

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার দেশ। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার ভোগ করবে। প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। বাংলাদেশ শান্তির দেশ। প্রতিটি মানুষের যে মৌলিক অধিকার রয়েছে সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের কাজ।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৩৩টা আসন পেয়ে ক্ষমতায় অসীন হয় আওয়ামী লীগ। এরপর টানা তিন বার নির্বাচনে জয়ী হলেও ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছিল বিরোধী কয়েকটি দল।

শেখ হাসিনা বলেন, “২০০৮ সালের বিজয়ের পর থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু। কিন্তু সেসকল চক্রান্ত অতিক্রম করে আমরা পর পর তিনবার মোট চারবার ক্ষমতায় এসেছি। কিন্তু আমরা যে ক্ষমতায় এসেছি সেটা তো ব্যর্থ হয়নি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে সল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে।”

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “আজকে বাংলাদেশ কোথায় গেছে? জুলাই মাসের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের একটা মর্যাদা ছিল বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। বাংলাদেশকে বলা হতো উন্নয়নের বিস্ময়।”

শিশুদের হাতে বছরের প্রথম দিনে বই তুলে দিতে না পারায় ইউনূস সরকারের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এছাড়া মাত্র ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি তলানিতে ঠেকানোর পেছনে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “কী আন্দোলন করলো, আজকে কেন বাচ্চারা বই পায় না। ২০২৩ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.০২৫ ভাগ; ২০২৪ সালে ৬.০৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম, আজকে নোবেল লরিয়েট ইউনূস সাহেব ক্ষমতায় এসে ওই একই প্রান্তিকে ১.৮১ ভাগে নামিয়ে আনল। দেশকে এগিয়ে যেতে দেয়নি। পিছিয়ে দিচ্ছি। ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। শেয়ারবাজারের টাকা সব লুটপাট।

“আর বাজেটে যতটাকা রেখে এসেছিলাম, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা, বাচ্চাদের বই, বৃত্তি উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা থেকে শুরু করে দেশের উন্নয়নে যতগুলো কাজ করে যাচ্ছিলাম সেই অর্থ সম্পদ সব লুটপাট করে যাচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা পাচার করেছে। গ্রামীণ ফোনের টাকা পাচার করেছে। এখন আমাদের বাজেটের টাকাও পাচার করছে। এবং মানুষের অর্থ আত্মসাৎ তার উপর ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে মানুষের পকেট খালি, আর ইউনূসের পকেট ভারী।”

স্থানীয় সরকার ও সংস্কার

বক্তব্যের এক পর্যায়ে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেন তিনি। এছাড়া সংবিধান সংস্কারের এখতিয়ার বর্তমান অস্তর্বর্তী সরকারের নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের বাতিল করার সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “আজকে যদি স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা কাজ করতে পারতো, নিজেরা যেভাবেই হোক মানুষের পাশে তো দাঁড়াতো। মানুষের কষ্ট তো হতো না। কারণ তারা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি। অবৈধ ইউনূসের কী অধিকার আছে তাদের বাতিল করে দেওয়ার।

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকে সংবিধান সংস্কার করতে চায়। এত বড় দুঃসাহস যে ওই সংবিধানে হাত দেয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিমিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মাত্র ১০ মাসের মধ্যে এই সংবিধান আমাদের দিয়েছেন। অনেকেই কাঁটাছেড়া করেছে। কিন্তু সংবিধান বাতিল করার সাহস কারো হয়নি। এবং এ সরকার তা পারবে না। জনগণ সে অধিকার তাদের দেয়নি, এটা তাদের মনে রাখতে হবে। কাজেই জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

বক্তব্যের শেষে এসে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার হিসেব এবং হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার নির্দেশনা দেন অ্যা-টিমের সদস্যদের।

আরও পড়ুন