দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, দু’জন ছাড়া সবাই নিহত

বিস্ফোরণের মুহূর্ত। ছবি: বিবিসি
বিস্ফোরণের মুহূর্ত। ছবি: বিবিসি

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ১৭৯–তে পৌঁছেছে।

রোববার সকালে এ দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার বরাতে দ্য কোরিয়া হেরাল্ড এই সংখ্যা জানিয়েছে।

অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, এ পর্যন্ত দুজনকে তারা জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।

জিওনাম অগ্নিনির্বাপক সংস্থার সদরদপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের একজন পুরুষ ও অন্যজন নারী, যাদেরকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে উদ্ধার করা হয়। ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই।

দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে ১৭৩ জনই ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক, বাকি দু’জন থাইল্যান্ডের।

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে রোববার সকাল ৯টার দিকে (স্থানীয় সময়) মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

নেমে আসার পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োহাজটি রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং অগ্নিগোলকে পরিণত হয়।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রতিবেদন:

বেশিরভাগ যাত্রী নারী, পাখির আঘাতেই কী দুর্ঘটনা?

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানে শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল?

আরও পড়ুন