স্পেনে ঢোকার চেষ্টায় এক বছরেই ১০ হাজারের বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে অভিবাসী অধিকার সংস্থা কামিনানদো ফ্রন্তেরাস।
বৃহস্পতিবার স্পেনভিত্তিক এই সংস্থা জানায়, এই সংখ্যা ১০ হাজার ৫৪৭জনে পৌঁছেছে, গড়ে প্রতিদিন মারা গেছেন ৩০ জন। আগের বছরের তুলনায় এই মৃত্যুর মিছিলের দৈর্ঘ্য ৫০ শতাংশেরও বড়।
এর আগে ২০২৩ সালে গড়ে মৃত্যুর হার ছিলো ১৮ জন।
স্পেনের স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতে, এ বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, নৌকায় চেপে ৫৭ হাজার ৭০০জনেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী স্পেনে এসে পৌঁছেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি৷
কামিনানদো ফ্রন্তেরাস তাদের ‘রাইট টু লাইফ ২০২৪’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, নিহতদের মধ্যে ৪২১ জন নারী এবং ১৫৩৮ জন শিশু-কিশোর রয়েছে।
যেসব পথে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে মানুষ ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করছে তার মধ্যে আটলান্টিক সাগরপথ বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, যে পথে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৫৭ জনের।
তাদের হিসেবে তালিকায় ঝুুঁকিপূর্ণ সাগর পথের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মৌরিতানিয়া থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ঢোকার পথটি। এপথে ৫১৭ জনের প্রাণ গেছে এক বছরে।
এছাড়া জিব্রাল্টার প্রণালীতে গতবছর ১১০ জনের প্রাণ গেছে, আলবোরান রুটে আরও ৭৩ জন।
কামিনানদো ফ্রন্তেরাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা বছরে ১৩১টি জাহাজ হারিয়ে গেছে, যেগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের পরিবহন করা হচ্ছিল।
এই পরিসংখ্যান ছাড়াও এই হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে উদ্ধারকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তাকে।
পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন এবং পরিবারের সদস্যদের অসচেতনতা অভিবাসী প্রত্যাশীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলেও মনে করেন তারা।
আগাদির এবং ডাখলা নৌপথে নারীরা নানাভাবে যৌন নিপীড়নসহ নানাভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন:
মানব পাচারের নেপথ্যের কৌশল: শিকার হচ্ছেন কারা?