ছেলে-বউমা’র সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন ‘হাসিখুশি’ খালেদা  

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বাসায় ফেরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বাসায় ফেরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।

সতের দিন লন্ডনের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ছেলের গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে নিজের কিংস্টন এলাকার বাসায় ফেরেন তারেক রহমান।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানও ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ‍্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক।

তারেক রহমানের পরিবারের একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিকেলের মধ্যেই বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কিছু আনুষ্ঠানিকতা এবং ছাড়পত্র পেতে রাত সাড়ে ৯টার মতো বেজে যায়।

বাসায় নেওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনকে একনজর দেখতে হাসপাতাল এলাকায় নেতাকর্মীরা ভিড় করেন।

গাড়িতে পেছনের আসনের বাম দিকে বসেন খালেদা জিয়া। মুখে মাস্ক। তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান ছিলেন সামনের আসনে।

এর আগে খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার রাতেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা আশা করছেন খালেদা জিয়া দ্রুত হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাবেন।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সকল দণ্ড থেকে খালাস পেয়ে ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান দেড় যুগ ধরে সপরিবারে লন্ডনে থাকছেন।

বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক বলেন, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সঙ্গে বাসায় ফেরার সময় খালেদা জিয়া বেশ হাসিখুশি ছিলেন।

“এখানকার চিকিৎসায় উনার অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বাসায় পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্যে থাকলে উনি আরও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা মনে করছি।” 

দেশে বন্দি থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছিল। দেশে অস্ত্রোপচারও হয়। তখন বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।

সে বিষয়ে ডা. জাহিদ বলেন, “ম্যাডামের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। বয়সটা এখানে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। তাছাড়া জেলে রেখে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।

“লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররা বলেছেন, আরও অনেক আগে ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে আসা গেলে তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা যেত, দ্রুত সুস্থ করা যেতে। এখন ওষুধের মাধ্যমে উনার চিকিৎসা চলছে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এছাড়া আর্থ্রারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। বছর খানেক আগে তার হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো হয়, বসানো হয় পেস মেকারও।

চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে।

কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাননি তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads