স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবি

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ। ভিডিও থেকে নেওয়া।
গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ। ভিডিও থেকে নেওয়া।

গাজীপুরে সাবেক মক্তিযোাদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালাতে আহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী মাঠে এ সমাবেশ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের অপসারণ চেয়েছে এই দলটি।

আগেরদিন রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি ভাঙচুর করতে গিয়ে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে অন্তত ১৪ জন আহত হয়।

নিজেদের নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার জন্য মোজাম্মেল হকের পাশাপাশি গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তাদের লোকজনকে দায়ী করেছে ‘বৈষম্যবিরোধীরা’।

এর আগে ফেইসবুক পোস্ট দিয়ে ওই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। জানানো হয়, সমাবেশে সারাদেশের আপামর ছাত্রজনতা ও বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় রাতের ঘটনা এবং সমাবেশ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা দেখা গেলেও গাজীপুরে সমাবেশস্থলে দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপস্থিত বেশিরভাগ ছিলেন পাঞ্জাবী ও টুপি পরা লোকজন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী নাসের খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়েব, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, টঙ্গী পশ্চিম থানা প্রতিনিধি নাবিল ইউসুফ প্রমুখ।

অনলাইনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার প্রতিবাদে গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয় ধানমন্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধা সদনেও।

পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

দৃশ্যত এসব ভাঙচুরে তেমন কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি ‘অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ ও ইসলামপন্থি সংগঠন গুলোকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads