৪৩তম বিসিএসে চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর ছেঁটে ফেলা ২৬৭ জন প্রার্থীর ‘বেশিরভাগকে’ পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র খবরে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া ২৬৭ জন প্রার্থীকে দুই ধাপে ছাঁটাই করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শুরুতে বাদ দেওয়ার কোনো কারণ জানানো না হলেও গণমাধ্যমে লাগাতার প্রতিবেদন এবং প্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে’ তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাদ পড়াদের একটি বড় সংখ্যা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও সংখ্যালঘু হওয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হয় ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে।
মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “তদন্ত শেষ হয়েছে এবং আমরা দ্রুত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার জন্য কাজ করছি।”
বাদ পড়া প্রার্থীদের অধিকাংশের পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “বর্তমানে তাদের আবেদনের পুনর্মূল্যায়ন চলছে।”
তবে কতজন পুনর্মূল্যায়নের আওতায় এসেছেন বা কতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে সে সংখ্যা উল্লেখ করেননি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
এসময় মোখলেসুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা প্রবর্তনের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়িত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পড়ে, তবে কমিটির সদস্য হিসাবে আমি নিশ্চিত করতে পারি, দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আলোচনা ইতোমধ্যে এগিয়েছে। এই ভাতা একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে এবং এবার পেনশনভোগীরাও উপকৃত হবেন, যা অতীতে ছিল না।”
সরকারি চাকরিজীবীদের টেকসই আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করে পরবর্তী ইনক্রিমেন্ট পিরিয়ডে মূল বেতনের সঙ্গে ভাতা সমন্বয় করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাস্তবায়নের সময়সীমা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মোখলেস চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আগেই এই ভাতা চালু হবে বলে আশ্বাস দেন।
এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন:
বিসিএসের নিয়োগ তালিকায় কাটছাঁটের কারণ ‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন’?