বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় সহধর্মিনী সারাহনাজ কামালিকা রহমানও তার সঙ্গে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গেলে তাদের স্বাগত জানান বিএনপি প্রধানের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ফজলে এলাহি আকবর।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালের পর এক যুগের মধ্যে কোনো সেনাপ্রধান বাসায় গিয়ে এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে সশ্স্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে দেখা হয় খালেদার।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রোগ নিরাময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিয়েছে।
আগামী সপ্তাহে তার লন্ডনে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শায়রুল কবির খান জানান, প্রায় ৪০ মিনিট খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান ও তার সহধর্মিণী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেনাপ্রধান সেই দোয়া করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
সাজা স্থগিত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তির পর ওই দিনই ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা ফিরোজায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে।