অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিরোধের ঘোষণার মধ্যেই দলীয় কর্মসূচি পালন শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ, শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি রয়েছে দলটির।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগের দাবি সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বোচ্চাসেবক লীগসহ দলটির সবকটি সহযোগী সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বলে জানান দলটির সাংগঠনকি সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
তিনি বলেছেন, “প্রতিরোধের হুমকিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভয় পায় না; জনগণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধা করেনি, করবে না। সেই স্পিরিট থেকে আওয়ামী লীগ আজকে নেমেছে।”
প্রচারপত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত স্বাদেশভূমিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে উগ্র সাম্প্রদায়িক অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।”
পুলিশি প্রতিরোধ এড়াতে কোথাও কোথাও ভোরের আলো ফোটার আগেই নেতাকর্মীদের রাস্তায় নেমে পড়তে দেখা গেছে। হয়েছে ঝটিকা মিছিল; স্লোগানে ছিল ইউনূসের অপসারণের দাবি।
কেউ কেউ স্লোগান দেন ‘শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ সহ বিভিন্ন দলীয় স্লোগান।
ঢাকা ছাড়াও খুলনা, গাজীপুর,নরসিংদী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর রংপুর, কুষ্টিয়া দৌলতপুর, সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণের ছবি দ্য সান ২৪ এর হাতে রয়েছে।
ঢাকায় সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলির খবর মিলেছে।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি; ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ; ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ; ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি রয়েছে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগকে এসব কর্মসূচি পালনে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচারের আগে দলটিকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না।
এ সম্পর্কিত আরও খবর: