স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণে অপারগতা জানিয়েছেন প্রথিতযশা লেখক, বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেন, “১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি।”
“এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করা বদরুদ্দীন উমর পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি।
এক সময় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। ২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন গড়ে সভাপতির দায়িত্ব নেন।
এবার স্বাধীণতা পুরস্কারের জন্য যাদের মনোনীত করা হয়েছে, সেই আটজনের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি সাতজনই মরণোত্তর এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন।
তারা হলেন– মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী, পপ সম্রাট আজম খান, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ভাস্কর নভেরা আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।