গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের বড় লাফ, পেছনে পড়লো ভারত

Untitled design (14)

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গেল বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও এবারও বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিস্থিতিকে ‘বেশ গুরুতর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। 

পাশাপাশি বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সংস্থাটির প্রতিবেদনে।

আরএসএফের তথ্য বলছে, যমুনা টিভি, সময় টিভি এবং একাত্তর টিভির মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা থেকে বিরত থেকেছে। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই দুটি দৈনিক ‘একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সম্পাদকীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষম’ হয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থাটি ২০২৫ সালের সূচক প্রকাশ করে।

তাদের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৬৫ তম অবস্থান থেকে ১৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের এবারের অবস্থান ১৪৯ তম।

এগিয়েছে প্রতিবেশী ভারতও; ২০২৪ সালে ১৫৯ তম অবস্থান থেকে আট ধাপ এগিয়েছে দেশটি। ১৫১ তম অবস্থানে উঠে এলেও অবস্থানে এবার বাংলাদেশের পেছনে।

শ্রীলঙ্কা ১৫০ নম্বর থেকে ১১ ধাপ এগিয়ে দেশটি ১৩৯ তম অবস্থানে রয়েছে। ১০৬ নম্বর থেকে এগিয়ে ১০৪ তম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে মালদ্বীপে। উন্নতি হয়েছে আফগানিস্তানেরও। ২০২৪ সালের সূচকে দেশটি ছিল ১৮০ দেশের মধ্যে ১৭৮ নম্বর। এবার তিন ধাপ এগিয়ে দেশটির অবস্থান ১৭৫ নম্বরে।

এবারও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনামলে গণমাধ্যম তীব্র স্বাধীনতার সংকটে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অবশ্য ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবাদলে শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের বাংলাদেশ বিষয়ক অংশে।

জনপ্রিয় কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনের (যমুনা টিভি, সময় টিভি এবং একাত্তর টিভি) নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব টিভি চ্যানেল ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকে সমর্থন করেছে, কিন্তু এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা থেকে বিরত রয়েছে। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই দুটি দৈনিক ‘একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সম্পাদকীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আরএসএফ বলেছে, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হলেও, বাংলাদেশ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এই অস্পষ্টতা গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে।

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এক কোটি হলেও “মূলধারার গণমাধ্যম কখনোই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে না” বলে মনে করে আন্তর্জাতিক এই সংগঠন।

গত দশকে উগ্র ইসলামপন্থীদের ‘সহিংস প্রচারণায়’ সাংবাদিকদের হত্যার ঘটনার উল্লেখ করেছে আরএসএফ।

পাশাপাশি এই গোষ্ঠীগুলো বর্তমানে “ধর্মনিরপেক্ষতা, বিকল্প মতের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে এবং হয়রানি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে” বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ads