ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুই মাস পর ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ ফেলা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
সাধারণত তফসিল ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “একটা সাধারণ ফেনামেনান হলো তফসিল ঘোষণার ৬০ দিন মোর অর লেসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার। তবে এরকম কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
“তবে আমরা হয়তো স্ক্রুটিনির (যাচাই-বাছাই) জন্য কয়েকদিন বাড়িয়ে দিয়েছি। বেশি সময় দেওয়ার যাবে না। রিজনেবল সময় দিতে হবে।”
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একইসাথে সংবিধান সংশোধনে গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশ বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে একই দিন অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট।
সেক্ষেত্রে পোলিং বুথের সংখ্যা ও ভোট প্রদানের সময় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইসি।
ভোট প্রদানের সময় বাড়ানো হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আমাদেরকে যেহেতু দুটো নির্বাচন একসাথে অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে- জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট; এটার সময় ম্যানেজমেন্ট নিয়ে…। আপনারা জানেন আমরা একটা মক ভোটিং করেছিলাম। সেইটার অভিজ্ঞতা এবং মাঠ পর্যায়ে যারা ইতোপূর্বে ভোট অনুষ্ঠান করেছেন তাদের অভিজ্ঞতা আলোচনা বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
“আমরা ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি; সকালে আধা ঘন্টা এবং বিকালে আধা ঘন্টা। অর্থাৎ এখন ভোট শুরু হবে সকাল সাড়ে সাতটায় এবং চলবে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত।”
এদিকে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে দুটি করে ভোট দেওয়ার জায়গা বা গোপন কক্ষের (স্টাম্পিং সেন্টার) ব্যবস্থা থাকবে।
গোপন কক্ষ বা ভোটিং বুথের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে সামান্য পরিমাণে বাজেট বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
এবার দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন ও মহিলা ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩৪ জন।
চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হয়েছে তাদের নিয়েই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০২৪ সালের আন্দোলনে ক্ষমতা হারানোর পর নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতীয় পার্টির বিষয়ে আপত্তি থাকলেও দলটির নির্বাচনে কোনো বাধা নেই বলে ইতোমধ্যে কমিশন থেকে জানানো হয়েছে।



